ইস্রাফিল ফকির, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর): পারিবারিক কলহের জের ধরে সাত মাসের অন্তঃসত্তা এক গৃহবধুকে নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সকালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কাতলাসুর গ্রামের রানা মোল্যা ওরফে চাঁন মিয়ার বাড়ি থেকে তছলিমা বেগম (২৫) নামের ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তছলিমা লোহাগাড়া উপজেলার নাওরা গ্রামের দিনমজুর রবিউল সরদারের মেয়ে। তার চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
তছলিমার বাবা রবিউল সরদার আমাদের নতুন সময়ের কাছে দাবি করেছেন, বিয়ের পর থেকেই তছলিমার ওপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন শাশুড়ি-ননদ। ছয় বছর আগে মিজানুর রহমান জিন্নার ছেলে চাঁন মিয়ার সাথে তছলিমার বিবাহ হয়।
শুক্রবার রাত ১২ টার পর তছলিমার স্বামী ফোন করে তছলিমা নিজের শাওয়ার ঘরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান, আমরা রাত তিন টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তছলিমাকে ঘরের ফ্লোরের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। বাড়িতে শাশুড়ি- ননদকে পাইনি।
মেয়ের বাবার দাবি, পারিবারিক কলহের জের ধরে সাত মাসের অন্তঃসত্তা তছলিমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে স্বামীর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। আমি এর বিচার চাই।
শাশুড়ি পাখি বেগম জানান, আমার ছেলের বৌ তছলিমার সাথে বড় কোনো ঝগড়া হয়নি। শুক্রবার রাতে ভাত কম রান্না করায় কথা কাটাকাটি হয়। তিনি ও তার ছেলে রানা মোল্যা ওরফে চাঁন মিয়া ও ননদ আরও জানান তছলিমাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি তার মানসিক সমস্যা ছিল। সে নিজের গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ওসি মো.আবু তাহের জানান, খবর পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সকালে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রির্পোট পেলেই গৃহবধুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
প্রতিনিধি/এনএইচ