শরিফুল ইসলাম ঝোকন, জামালপুর: জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনে ৫ টি আন্তঃনগর ট্রেনের প্রায় সব টিকিট কালোবাজারিদের দখলে এতে জনসাধারণের ভোগান্তি চরমে। জামালপুর থেকে ৫ টি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন চলে ময়মনসিংহ- ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে এসব ট্রেনের টিকিট চোখের পলকেই শেষ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে আলোচনা সমালোচনা।
অভিযোগ উঠেছে, জামালপুর স্টেশন ঘিরে গড়ে ওঠা একাধিক টিকিট কালোবাজারি চক্রের অপতৎপরতায় সাধারণ যাত্রীদের নাগালের বাইরে থাকছে ট্রেনের টিকিট এতে যাএীদের ভোগান্তি চরমে। আর এ চক্রের সাথে জামালপুর রেলস্টেশনের কিছু বুকিং সহকারী জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
জামালপুর স্টেশনে ট্রেনের টিকিট যাত্রার ৫ দিন আগে অনলাইনে ও স্টেশন কাউন্টারে বিক্রি করা হয়। এখন নির্ধারিত মোট আসনের ৫০ শতাংশ অনলাইনে এবং ৫০ শতাংশ কাউন্টারে বিক্রি করা হচ্ছে।
সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিট বিক্রি শুরুর অল্পসময়ের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যায়। বিশেষ করে জামালপুর থেকে ঢাকামুখী ৫টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক সংকট দেখা যায়।
বিগত কিছু দিন আগে অল্প কিছু কালোবাজারি থাকলেও বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো অভিযান না থাকায় ২০ জনের অধিক কালোবাজারি রেলওয়ে স্টেশন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কালোবাজারি জানান, তারা রেলওয়ে স্টেশনের কর্মরত বুকিং মাস্টার দের কাছ থেকে ৩০ টাকা ৪০ টাকা মূল্য বেশি দিয়ে কাউন্টার থেকেই টিকিট সংগ্রহ করেন এবং পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের কাছে সেই টিকিটগুলো দুইশ আড়াইশো টাকা মূল্যবৃদ্ধিতে বিক্রি করেন।
এই বিষয়ে জামালপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ গুলজার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কালোবাজারি প্রতিরোধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জামালপুর রেল স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার আসাদুজ্জামান সাথে কথা বললে তিনি জানান, কোন বুকিং সহকারী কালোবাজারিদের সাথে জড়িত এমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অথবা কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।