শিরোনাম
◈ বিদেশে আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা: বাড়ছে আবেদন, কমছে স্বীকৃতি ◈ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ মাঝরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ যেসব সুবিধা পান রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা  ◈ আইআরআই জরিপ: ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা অটুট, ৮০% বাংলাদেশি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী ◈ খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির বার্তা: চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত ◈ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার ◈ ইন্টার মিলা‌নের জয়, জোড়া গোল করে ইতিহাস লাউতারোর ◈ প্রাথমিক শিক্ষকদের মঙ্গলবারও কর্মবিরতি, হবে না বার্ষিক পরীক্ষা ◈ ২০২৬ থেকে বাধ্যতামূলক সিবিএমএস: বন্ড ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ ডিজিটাল যুগে এনবিআর

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৪:৩৪ দুপুর
আপডেট : ০১ অক্টোবর, ২০২২, ০৮:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আদালতে ক্ষমা চাইবেন মরিয়ম মান্নান

রহিমা বেগম ও মরিয়ম মান্নান

আলামিন শিবলী: নিখোঁজের ২৯ দিন পর উদ্ধার হওয়া খুলনার রহিমা বেগম ‘অপহৃত হয়েছিলেন’ বলে যে জবানবন্দি পুলিশ ও আদালতকে দিয়েছিলেন তা মিথ্যা বলে স্বীকার করেছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। দেশ রূপান্তর 

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মাকে উদ্ধারের ৫ দিনের মাথায় জবানবন্দি পরিবর্তনের আবেদন করবেন বলেও জানান মরিয়ম। তার সঙ্গে কথা হলে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মরিয়ম মান্নান বলেন, তিনি আদালতের কাছে ক্ষমা চাইবেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে উদ্ধার করা হয় মরিয়মের মা রহিমা বেগমকে। উদ্ধারের পর ১৫ ঘণ্টা কোন কথা বলেননি রহিমা বেগম। পরদিন সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার পর পিবিআইয়ের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহিমা বেগম দাবি করেন, অপহরণ করা হয়েছিল। তবে তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেটি বলতে পারেননি। তার দাবি ছিল পানি আনতে গেলে তিন-চারজন তার মুখে কাপড় ধরে কিছু একটা দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মরিয়ম জানান, ফরিদপুরে তার মায়ের অবস্থানের খবর আগেই জেনেছিলেন। তবে নানা জনের নানা পরামর্শে সেটি বিশ্বাস করেননি তিনি। এজন্যই তিনি ময়মনসিংহের অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহকে মায়ের দাবি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

মরিয়ম আরও বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহকে মা ভাবার কারণে তিনিসহ অন্য ভাইবোনেরা ‘স্বাভাবিক অবস্থায়’ ছিলেন না। এ কারণেই তারা রহিমা বেগমের বান্দরবান ও ফরিদপুরে অবস্থানের তথ্যকে ‘গুরুত্ব’ দেননি।

মায়ের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে বরাবরই প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমির বিরোধের বিষয়টিকে দায়ী করে আসছিলেন মরিয়ম। রহিমা নিখোঁজের পরদিন দৌলতপুর থানায় অপহরণের মামলা করেন তার আরেক মেয়ে আদুরী। ওই মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মরিয়ম বলেন, আমরা মামলায় কারও নাম দিইনি। সন্দেহভাজনদের নাম দিয়েছিলাম। তাদের সন্দেহের যথেষ্ট কারণ ছিল। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। আমি ইতিমধ্যে আইনজীবীকে বলে দিয়েছি, মামলাটি তুলে নিতে। তখন তাদের প্রতি সন্দেহ হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। এখন তো মনে হচ্ছে মা আত্মগোপনে ছিলেন। তাই মামলাটি তুলে নেব। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে আদালতের কাছে ক্ষমাও চাইব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়