ফজলুল হক, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : এক পাশে থানা ও অপর পাশে উপজেলা প্রশাসনের নিরাপত্তা বেষ্টনী, তারপরেও যেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়। বুধবার রাতেও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে রহস্যময় চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এভাবে বার বার রহস্যজনক চুরির ঘটনায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দলিলপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারী নথিপত্র। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিরাপত্তা জোরদারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার লতিফপুর এলাকায় কালিয়াকৈর থানার সন্নিকটে চতুর্দিকে সীমানা প্রাচীরে ঘেরা উপজেলা চত্বরের ভেতরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও তার বাসভবনের একেবারে মাঝখানে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়।
সে সুবাধে কঠোর নিরাপত্তার বেষ্টনীতে থাকার কথা এই এলাকাটি। কিন্তু এতো কঠোর নিরাপত্তার ভেতরেও বুধবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তর ওই সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে রহস্যময় চুরির ঘটনা ঘটে।
রাঁতের কোনো এক সময় ওই কার্যালয়ের বাথরুমের জানালা ভেঙ্গে ও এজলাস কক্ষের দরজার তালার হ্যাজবল খুলে ভেতরে প্রবেশ করে চোরচক্র। পরে তারা সাব-রেজিষ্ট্রারের এজলাস কক্ষ ও খাস কামরার বিভিন্ন আলমারী ও টেবিলের ড্রয়ার ভাংচুর করে।
এছাড়াও তারা জনসাধারণের মূল্যবান দলিলপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারী নথিপত্র তছনছ করে। তবে জনসাধারণের কোনো দলিলপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারী নথিপত্র চুরি হয়েছে কিনা তাৎক্ষনিক ভাবে কিছু জানাতে পারেনি সাব-রেজিষ্ট্রার কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই সাব-রেজিষ্টার কার্যালয়ের অফিস সহকারী হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এতো নিরাপত্তা বেষ্টনির ভেতরে বার বার এবংকী ওই দপ্তরে রহস্যজনক চুরির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
সাব-রেজিষ্ট্রার আমির হামজা জানান, দলিল বাবদ সরকারী রাজস্ব আদায় পে-অর্ডারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এ কারণে কোন আর্থিক চুরি হয়নি। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এটা করেছে? তা জানি না। এছাড়া নথিপত্র বা কোনো দলিল খোয়া গেছে কিনা? তা আপাতত বলা যাচ্ছেনা ।
কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মাজাহারুল ইসলাম জানান, ওই অফিসে চুরির ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে চুরির ঘটনাটি শুনেছি।
এর আগেও ওই অফিসে চুরির বিষয়টি আমার জানা আছে।
তবে সরকারীভাবে ওই অফিসে কোনো নিরাপত্তা কর্মী নেই। ওই অফিসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সম্পাদনা: আল আমিন