শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উৎকণ্ঠা—এভারকেয়ারে নজর সবার ◈ প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে বাড়তি খরচ কমাতে নতুন ছক চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ ১০ মাস পর প্রার্থী পরিবর্তন: খুলনা-১ এ জামায়াতের টিকিট পেলেন কৃষ্ণ নন্দী ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এভারকেয়ারে ◈ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্ত করতে পে-প্যালের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে: গভর্নর ◈ 'স্বেচ্ছা নির্বাসনে' যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ◈ স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধন, বয়সসীমা শিথিল করল মাউশি, রেজিস্ট্রেশনের বয়সে কঠোর বোর্ড ◈ ভূমিকম্প থে‌কে রক্ষা পেতে জাপানের কাছ থেকে যা শিখতে পারে বাংলাদেশ ◈ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা ◈ তালাক হলেও ফিরে আসার পথ—ইসলামী বিধান অনুযায়ী করণীয়

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২৪, ০৫:১৭ বিকাল
আপডেট : ০৬ মে, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঠাকুরগাঁওয়ে মাদরাসা সভাপতির বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আবু বক্কর সিদ্দিক, ঠাকুরগাঁও: [২] ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক মাদরাসা সভাপতির বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসারই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে এবং ঘটনার পর থেকেই মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিম গাঁ ঢাকা দিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ।

[৩] জানা গেছে, ২০১১ সালে স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া গ্রামে ‘ভরনিয়া দারুল হাদীস ওয়াদ দাওয়াহ্ আস্-সালাফিয়্যা মাদরাসাটি গড়ে উঠে। মাদরাসাটির দুইটি শাখা রয়েছে। একটি ছাত্রীদের জন্য আবাসিক এবং অপরটি ছাত্রদের জন্য অনাবাসিক। আবাসিকে ১৫-১৬ জন কিশোরী রাতযাপন করে। মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিম রাতের বেলা প্রায় সময় আবাসিকে যাতায়াত করতেন এবং মেয়েদের জুস খাওয়াতেন। জুসে মেশানো থাকতো চেতনানাশক ওষুধ বা ঘুমের বড়ি। আর সেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছাত্রীদের ধর্ষণ করতেন তিনি। 

[৪] ৮ জুলাই সব ছাত্রীদের ছুটি দেওয়া হলেও তিনজন ছাত্রীকে সভাপতির নির্দেশে ছুটি দেওয়া হয়নি। মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিম ওই রাতে গিয়ে ওই তিন কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাওয়ান। কিশোরীরা ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি পরদিন জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ জানান এবং আব্দুল করিমের বাড়ি ঘেরাও করেন। 

[৫] নাম প্রকাশ না করা শর্তে মাদরাসার এক কিশোরী জানান, সভাপতি আব্দুল করিম প্রায় সময়ই মাদ্রাসায় আসতেন এবং মাঝে মধ্যে ছাত্রীদের জুস খাওয়াতেন। জুসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ থাকতো। সবাই যখন ঘুমিয়ে যেত তখন সভাপতি তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালাতেন। 

[৬] স্থানীয় ইউপি সদস্য মইন উদ্দীন কাবুল বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে আমরা এক শিক্ষককে ঘটনাটি তদন্তে ছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতে বলি। তাদের সঙ্গে কথা বললে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তারা সভাপতির বিচার চেয়েছেন। 

[৭] রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, ভরনিয়া গ্রামে ‘ভরনিয়া দারুল হাদীস ওয়াদ দাওয়াহ্ আস্-সালাফিয়্যা মাদরাসা’ আবাসিক ‘বালিকা হিফজুল কুরআন’ বিভাগে কিছু কোমলমতি ছাত্রী আবাসিক ভাবে থাকতো। মাদ্রাসার সভাপতির অনৈতিক কাজের প্রমান আমরা পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে প্রশাসন মাঠে নেমেছে।

[৮] অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

[৯] রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ জয়ন্ত কুমার সাহা মুঠোফোনে বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, মামলাও হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়