ফয়সাল চৌধুরী, কুষ্টিয়া: [২] মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার বাইপাস সড়কের রোজ হলিডে পার্কসংলগ্ন জিকে ক্যানাল থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
[৩] কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ ব্লক এলাকার নিখোঁজ ইজিবাইকচালক শাহিনুল হক লিটনের (৪৭) মরদেহ বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
[৪] গত ১৮ মে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন লিটন। পুলিশ বলছে, শরীরে লাল গেঞ্জি ও জিনস প্যান্ট দেখে তার ছেলে নিশ্চিত হয়েছে যে এটা তার বাবার মরদেহ। নিখোঁজের ঘটনায় লিটনের স্ত্রী মোছা. মনিরা হক বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন। লিটন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ ব্লক এলাকার মৃত ইজাবুল হকের ছেলে।
[৫] পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকালে জিকে ক্যানালে একটি অর্ধগলিত মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। প্রথমে ওই ব্যক্তির মরদেহ দেখে তাকে কেউ চিনতে পারেনি। পরে নিহত লিটনের ছেলে নীল মরদেহের গায়ে থাকা পোশাক দেখে শনাক্ত করেন যে, মরদেহটি তার বাবা লিটনের।
[৬] লিটনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মে বিকেলে বাড়ি থেকে ব্যক্তিগত ইজিবাইক নিয়ে বের হন লিটন। এরপর তার আর হদিস মেলেনি। লিটনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। নিখোঁজের ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিটনের স্ত্রী সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে গত ২৫ মে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে মডেল থানায় মামলা করে করেছিল করেন। নিহত লিটনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন। নিখোঁজ হওয়ার দিন ইজিবাইক নিয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল এলাকার দিকে যান লিটন।
[৭] বেশ কয়েকজন অটোরিকশাচালক ও ভ্যানচালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই রাস্তায় মাঝেমধ্যে অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীদের খপরে পড়ে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তাই এই ধরনের দুর্ঘটনা রোধে পুলিশের বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন বলে তারা দাবি জানান।
[৮] কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা জানান, লিটন নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর পরিবার থেকে থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। এরপর গত ২৫ মে নিখোঁজ লিটনের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে মডেল থানায় মামলা করেন।
[৯] এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে কয়েক দিন আগে ক্যানালে ফেলে রাখা হয়েছিল। মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মরদেহটির পরনে লাল গেঞ্জি, জিনস প্যান্ট রয়েছে। পোশাক দেখেই মরদেহটি নিখোঁজ ইজিবাইকচালক লিটনের বলে দাবি করে তার পরিবার। মরদেহটির উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
প্রতিনিধি/একে