মাসুদ আলম: [২] সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে ‘সানভীস বাই তনি’ নামে কয়েকটি শোরুম আছে। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স।
[৩] দেশি কাপড় পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ উঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এরপর সোমবার গুলশানের পুলিশ প্লাজা মার্কেটে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
[৪] মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির মালিক তনি ভোক্তা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। পরে দেশি থ্রিপিস পাকিস্তানি বলে বিক্রির জন্য ৫০ হাজার এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
[৫] ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেশি থ্রি পিস পাকিস্তানি বলে বিক্রি করতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতো। তনি শুনানিতে অংশ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। এছাড়া ভবিষৎতে এই বিষয়ে সর্তক থাকবেন।
[৬] তিনি আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়।
[৭] আবদুল জব্বার বলেন, গুলশানের শোরুমের গিয়ে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে। আপাতত তাদের শো-রুম বন্ধ করে দিয়েছি। সম্পাদনা: এম খান
আপনার মতামত লিখুন :