শিরোনাম
◈ টেকনাফে বাংলাদেশি ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি ◈ রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ, ১৪টি শহর বিদ্রোহীদের দখলে, নজর রাখছে চীন ও ভারত ◈ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে: সালাহ উদ্দিন আহমদ ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় বৈঠক করবেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা কার্নির ◈ আমাদের উপদেষ্টা যারা দায়িত্ব পালন করছেন, এখন অনেক ক্ষেত্রেই তারা অসহায়: মির্জা ফখরুল ◈ পরাজ‌য়ে শুরু, পরাজয় দি‌য়ে শেষ বাংলা‌দেশ দ‌লের টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ◈ আমাকেও বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হতে পারে: অমর্ত্য সেন ◈ ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ‘ঐতিহাসিক’ বলছে ইসলামাবাদ ◈ ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময় জানাল এনসিটিবি

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৫ রাত
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়ার কন্ঠ নকল করে ২৬ কোটি টাকা হাতিয়েছে একটি চক্র (ভিডিও)

খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে  মোতাল্লেছ হোসেনের নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেছে।

ভিডিও প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোতাল্লেছ হোসেনে একজন সহযোগীর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন। এই অর্থ তার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা হতো, যা কোটি কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে তিন মাসের ব্যবধানে সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় মোতাল্লেছ হোসেনের একাধিক ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। এরপর তার মোট ৯টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করে কর্তৃপক্ষ। অনুসন্ধানে উঠে আসে, এসব হিসাবে মোট ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। অথচ তার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী, তার ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৩৪ লাখ টাকা।

বিএফআইইউ মোতাল্লেছ হোসেন এবং তার ব্যবসার নয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। এর মধ্যে সাতটি অ্যাকাউন্টে ২৬.৮৪ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিএফআইইউ সন্দেহ করছে, খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে মোতাল্লেছ ও তার সহযোগীরা কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছেন। তবে এই অভিযোগ এখনও যাচাই-বাছাই ও প্রমাণের পর্যায়ে রয়েছে।

ঘটনাটি বিএফআইইউ'র নজরে আসার পর থেকেই মোতালেব হোসেন পলাতক রয়েছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখনো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অভিযোগের বিষয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে মোতাল্লেছ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ব্যবসার সুবিধার্থে নিজস্ব টাকা নিজেরই বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করেছি, সেটিকে পাচার হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে সরকারের একজন উচ্চপর্যায়ের আইন কর্মকর্তা ও বিএফআইইউয়ের কিছু কর্মকর্তা ষড়যন্ত্র করছে। এরই মধ্যে কর রিটার্নে সাড়ে ৫ কোটি টাকার সম্পদ দেখিয়েছি। তবুও আমাকে ‘লাপাত্তা’ বলা হচ্ছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সম্মানহানিকর।’

মোতাল্লেছ বিএফআইইউ’র প্রধান ও পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গত ২০ মে হিসাব মুক্ত করার আবেদনও করেছেন। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করেননি বলেও জানান তিনি।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি গুরুতর অপরাধ। বিএফআইইউ'র প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মোতালেবের বিরুদ্ধে অন্তত চারটি মামলা হতে পারে। তারা দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে বিএফআইইউয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মোতাল্লেছ হোসেনের হিসাবে এখন পর্যন্ত কোনো পাচার বা অপরাধজনিত অর্থের সরাসরি প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং একই অর্থ একাধিক বার স্থানান্তর হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য তার ফ্রিজ করা হিসাব খুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

মোতাল্লেছ হোসেনের ভাই মোহাম্মদ কাইয়ুমুজ্জামান, যিনি বর্তমানে নৌ পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে কর্মরত, তিনি এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোর মনোনীত ব্যক্তি (nominee) যেখানে অর্থ জমা হয়েছিল। এই বিষয়টি তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সূত্র: চ্যানেল২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়