শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২৪, ০৭:৫৬ বিকাল
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৪, ০৭:৫৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লায় তরুণীর প্রেমের ফাঁদে সর্বহারা ব্যবসায়ী, গ্রেপ্তার ৭

শাহজাদা এমরান, কুমিল্লা: [২] নাম তাসনুবা আকতার, বয়স সবে মাত্র ২৩ বছর। জীবনের রঙ্গিন সময়কে কাজে না লাগিয়ে বেছে নিয়েছে প্রতারণার পথ। রূপকে কাজে লাগিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণ থেকে বৃদ্ধ সকল শ্রেণীর লোকদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নেয় সে। প্রেমের এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে গোপন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও ধারণ করে পরবর্তীতে এই ভিডিও দিয়ে তার সঙ্গীরা কখনো ডিবি, কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে অর্থ আদায় করতেন। 

[৩] সর্বশেষ তার প্রতারণার ফাঁদে পড়েন লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মামুন (ছদ্মনাম)। তাসনুবা তার রূপের ঝলক দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে মামুনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। 

[৪] শনিবার (৪ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান। 

[৫] পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করে। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে শুক্রবার রাতে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

[৬] গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার সুবর্ণপুর এলাকার সৈয়দ আব্দুর রউফ এর ছেলে সৈয়দ আয়াত উল্লাহ (৩৭), বালুতুপা গ্রামের মো. ইসহাক মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন (৪০), একই এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. কবির হোসেন (২৮), বরুড়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৩৬), গালিমপুর গ্রামের মো. আলী আজগর এর ছেলে মো. আব্দুর রহিম, চান্দিনা উপজেলার কেশরা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাসনুবা আক্তার (২৩) ও লাকসাম উপজেলার বড় বিজরা গ্রামের মো. মোস্তফা কামালের ছেলে মো. সাখাওয়াত হোসেন (২৮)। 

[৭] এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনে থোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুল হাসান রাফি, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া’সহ প্রমুখ।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়