মাসুদ আলম: [২] বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নভেম্বর ২০২৩ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৮৩ কোটি ৯৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
[৩] সোমবার বিজিবি জানায়, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২৭ কেজি ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ, ৮ কেজি ২৮০ গ্রাম রূপা, এক লাখ ৪১ হাজার ৯১৪টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ২,৫৫৮টি ইমিটেশন গহনা, ১৬ হাজার ৬৩৫টি শাড়ি, ২০ হাজার ৪৫৬টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর, কম্বল, তৈরি পোশাক, তিন হাজার ৪১৩ ঘনফুট কাঠ, দুই হাজার ৯৪৩ কেজি চা পাতা, দুই লাখ নয় হাজার ৯৯৭ কেজি কয়লা, ২০০ ঘনফুট পাথর, নয়টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, সাতটি ট্রাক, ছয়টি পিকআপ, একটি কাভার্ড ভ্যান, ৩০টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৬০টি মোটরসাইকেল।
[৪] উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি পিস্তল, দুটি বিভিন্ন প্রকার গান, চারটি ম্যাগাজিন, নয়টি ককটেল এবং ১৩৬ রাউন্ড গুলি। এছাড়াও মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯০৮ ইয়াবা, ৬ কেজি ৫৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৪৬ কেজি ৩৪২ গ্রাম হেরোইন, ১১ হাজার ২২৬ বোতল ফেনসিডিল, ২৬ হাজার ৫৮৮ বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ৩৩৬ লিটার বাংলা মদ, ৪ হাজার ৮০০ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৯৫৫ কেজি গাঁজা, ৮৬ হাজার ৭৪৪ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪৩ হাজার ৮৫৫টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৬ হাজার ১৫৫ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৩ কেজি ৭৮৫ গ্রাম কোকেন, ১ হাজার ৬৯৬ বোতল এমকেডিলকফিডিল, ১ হাজার ২৩০টি অ্যানগ্রাসেনেগ্রা ট্যাবলেট, ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ৫৯৫ প্যাকেট কীটনাশক এবং ১৪ হাজার ৫৭২টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
[৫] সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭৮ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিক, দুজন ভারতীয় নাগরিক এবং ১৫০ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএ/টিএবি/এনএইচ