শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৮ জুন, ২০২৩, ০৬:৫৭ বিকাল
আপডেট : ০৮ জুন, ২০২৩, ০৬:৫৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কমলগঞ্জে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চা উৎপাদন ব্যাহত

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার: জেলার কমলগঞ্জে গত কয়েকদিন ধরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বিভিন্ন বাগানে চা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করণ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলায় ছোট-বড় মিলে ২২টি চা বাগান রয়েছে। বৃষ্টির ভর মৌসুমে বৃষ্টি না থাকায় এমনিতেই চা উৎপাদন কম হচ্ছে। এর মাঝে গত কয়েকদিন ধরে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চায়ের উৎপাদন আরও কম হচ্ছে। 

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন চা বাগান ফ্যাক্টরিতে গিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে প্রতি ১৬ ঘন্টায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘন্টা, আর ২৪ ঘন্টায় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এর জন্য চাহিদামত চা উৎপাদন হচ্ছে না। বর্তমানে ৬০ শতাংশ চা উৎপাদন হচ্ছে। অনা বৃষ্টি ও লোডশেডিংয়ের কারণে বাকি ৪০ শতাংশ উৎপাদন হচ্ছে না। বিকেলে ও রাতে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। 

শমশেরনগর চা বাগানের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন বলেন, অনা বৃষ্টির কারণে চা পাতা উৎপাদন এমনিতেই কম হয়েছে। এর মধ্যে গত কয়েকদিনের লোডশেডিংয়ে চা উৎপাদন আরও কমে গেছে। সবকিছু মিলে বর্তমানে ১০০ ভাগের জায়গায় ৬০ শতাংশ চা উৎপাদন হচ্ছে। এর কারণে ফ্যাক্টরিগুলো লোকসান গুনতে হচ্ছে। 

এ দিকে উপজেলার শমশেরনগর, শহীদনগর, মুন্সীবাজার ঘুরে দেখা যায়, লোডশেডিং এর কারণে ইলেকট্রিক ওয়েল্ডিংয়ের কারখানা, রাইস মিলসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে শ্রমিকেরা বসে বসে দিন কাটাচ্ছেন। 

উপজেলার ইলেকট্রিক ওয়েল্ডিংয়ের কারখানার মালিক সেলিম মিয়া বলেন, বেলা ১২টা থেকে শুরু করে রাত ৩টা পর্যন্ত প্রতি এক ঘন্টা পর এক ঘন্টা লোডশেডিং করা হয়। এমনিতেই তাপদাহ চলছে এর মাঝে বিদ্যুৎ থাকেনা। দিন শেষে ৫/৬ জন কর্মচারীর বেতন দিতে হয়। অথচ বিদ্যুৎ না থাকায় কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মীর গোলাম ফারুক বলেন, অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলের মানুষেরা অনেক বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বৃষ্টি হলে বা তাপমাত্রা কমে আসলে এই সমস্যা দূর হবে। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়