শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৩, ০৫:৫৪ বিকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৩, ০৫:৫৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাঁচ মাসে সান্তাহার রেলওয়ে থানা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২৮ জনের প্রাণহানি

এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া): সান্তাহার রেলওয়ে (জিআরপি) থানা এলাকায় ব্রড ও মিটার গেইজ রেললাইনে চলতি বছরের ১লা জানুয়ারী থেকে ২৫ মে মাস পর্যন্ত মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে ট্রেনে কাটা পড়ে নারী পুরুষসহ ২৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হানির সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়া এসব ব্যক্তিদের অধিকাংশের বয়স ২৫ থেকে ৫০ বছর। আত্মহত্যা, অসাবধানতাবশত লাইন পাড়াপাড় ও রেললাইন ধরে হেটে মুঠোফোন ব্যবহার ট্রেনে কেটে প্রাণহানির অন্যতম কারণ বলে রেলওয়ে থানা পুলিশ জানিয়েছে।

সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে উত্তরে দিনাজপুর জেলার হিলি স্টেশন, দক্ষিণে নাটোর জেলারমালঞ্চি স্টেশন এবং পূর্বে বগুড়া জেলার সোনাতলা স্টেশন পর্যন্ত সান্তাহার রেলওয়ে (জিআরপি) থানা এলাকার সীমানা। এই সীমানায় রেললাইনের উভয় পাশের ১০ মিটার পর্যন্ত রেলওয়ে থানার আওতাভুক্ত। এই ১০ মিটারের মধ্যে যে কোন দুর্ঘটনা, মৃত্যুসহ অন্যান্য অপরাধ দেখভালের দায়িত্ব¡ সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশের। ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ শনাক্তকরন, দাফন ও সংকার নিয়ে রয়েছে পুলিশের নানা সমস্যার অভিযোগ।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন জানায়, সান্তাহার রেলওয়ে থানার আওতায় সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে নাটোরের মালঞ্চি স্টেশনের দুরত্ব প্রায় ৬০ কিলেমিটার, দিনাজপুর জেলার হিলি স্টেশনের দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার এবং বগুড়ার সোনাতলা স্টেশনের দূরত্ব ৭২ কিলোমিটার। এই বিশাল এলাকা দেখভাল করা অল্প সংখ্যক পুলিশের জন্য অত্যন্ত কঠিন কাজ।

আরো বলেন, এছাড়া একটি মরদেহ দাফনের জন্য রেলওয়ের বরাদ্দমাত্র ১২০০ টাকা, যা অপ্রতুল। এছাড়া মরদেহ বহনের জন্য কোন লাশবাহী গাড়ী বরাদ্দ নেই। দূর থেকে মরদেহ বহন করে আনা আমাদের জন্য নেক ব্যয় সাপেক্ষ্য হয়ে যায়। অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি মরদেহ উদ্ধার করা থেকে দাফন করা পর্যন্ত পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকে। এজন্য এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোসহ লাশবাহী গাড়ী থাকা একান্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়