শিরোনাম
◈ ত্রিপুরায় নিহত ৩ বাংলাদেশি ছিলেন চোরাচালানকারী: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  ◈ ডিবি হারুন-অর-রশিদের ‘মুখোমুখি ইউনূস’ ভিডিও ভুয়া: যুক্তরাষ্ট্রে তিনি প্রকাশ্যে আসেননি ◈ জুলাই সনদে সই করেছেন যেসব দলের নেতারা ◈ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন ৪ কর্মকর্তার রদবদল ◈ আমেরিকায় গ্রিন কার্ড লটারি থেকে ৩ বছরের জন্য বাদ ভারত ◈ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ◈ আবারও জেন জি’দের বিক্ষোভ, এবার উত্তাল পেরু, পদত্যাগে অস্বীকৃতি প্রেসিডেন্ট হোসে জেরির, জরুরি অবস্থা জারি (ভিডিও) ◈ আসামে সেনা ক্যাম্পে উলফা জঙ্গিদের গুলিবর্ষণ, তিন সেনা সদস্য আহত ◈ জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিনে ‘জুলাই যোদ্ধাদের রাস্তায় নামা লজ্জাজনক’, মন্তব্য জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের ◈ আসলে জুলাই যোদ্ধা কারা, গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের নিয়ে কেন বিতর্ক?

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৩, ০৫:৫৪ বিকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৩, ০৫:৫৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাঁচ মাসে সান্তাহার রেলওয়ে থানা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২৮ জনের প্রাণহানি

এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া): সান্তাহার রেলওয়ে (জিআরপি) থানা এলাকায় ব্রড ও মিটার গেইজ রেললাইনে চলতি বছরের ১লা জানুয়ারী থেকে ২৫ মে মাস পর্যন্ত মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে ট্রেনে কাটা পড়ে নারী পুরুষসহ ২৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হানির সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়া এসব ব্যক্তিদের অধিকাংশের বয়স ২৫ থেকে ৫০ বছর। আত্মহত্যা, অসাবধানতাবশত লাইন পাড়াপাড় ও রেললাইন ধরে হেটে মুঠোফোন ব্যবহার ট্রেনে কেটে প্রাণহানির অন্যতম কারণ বলে রেলওয়ে থানা পুলিশ জানিয়েছে।

সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে উত্তরে দিনাজপুর জেলার হিলি স্টেশন, দক্ষিণে নাটোর জেলারমালঞ্চি স্টেশন এবং পূর্বে বগুড়া জেলার সোনাতলা স্টেশন পর্যন্ত সান্তাহার রেলওয়ে (জিআরপি) থানা এলাকার সীমানা। এই সীমানায় রেললাইনের উভয় পাশের ১০ মিটার পর্যন্ত রেলওয়ে থানার আওতাভুক্ত। এই ১০ মিটারের মধ্যে যে কোন দুর্ঘটনা, মৃত্যুসহ অন্যান্য অপরাধ দেখভালের দায়িত্ব¡ সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশের। ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ শনাক্তকরন, দাফন ও সংকার নিয়ে রয়েছে পুলিশের নানা সমস্যার অভিযোগ।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন জানায়, সান্তাহার রেলওয়ে থানার আওতায় সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে নাটোরের মালঞ্চি স্টেশনের দুরত্ব প্রায় ৬০ কিলেমিটার, দিনাজপুর জেলার হিলি স্টেশনের দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার এবং বগুড়ার সোনাতলা স্টেশনের দূরত্ব ৭২ কিলোমিটার। এই বিশাল এলাকা দেখভাল করা অল্প সংখ্যক পুলিশের জন্য অত্যন্ত কঠিন কাজ।

আরো বলেন, এছাড়া একটি মরদেহ দাফনের জন্য রেলওয়ের বরাদ্দমাত্র ১২০০ টাকা, যা অপ্রতুল। এছাড়া মরদেহ বহনের জন্য কোন লাশবাহী গাড়ী বরাদ্দ নেই। দূর থেকে মরদেহ বহন করে আনা আমাদের জন্য নেক ব্যয় সাপেক্ষ্য হয়ে যায়। অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি মরদেহ উদ্ধার করা থেকে দাফন করা পর্যন্ত পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকে। এজন্য এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোসহ লাশবাহী গাড়ী থাকা একান্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়