শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম): রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের রোয়াইঙ্গা বিল এলাকায় ৬৪ হেক্টর ফসলী জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ করেছে কয়েক জন কৃষক। তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদে অর্ধশতাধিক শ্রমিক বীজ রোপন থেকে এখন পর্যন্ত কাজ করছে। ডাবুয়ায় ফসলী জমিতে তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝলক।
ইতিমধ্যেই তরমুজ বিক্রি শুরু করেছে কৃষকেরা।রাউজানের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরেও বিক্রি করছে। কাভার্ড ভ্যান ভতি তরমুজ যাচ্ছে চট্টগ্রম নগরীতে।ডাবুয়ায় বিপুল পরিমান ফসলী জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদের জমিতে ডাবুয়া খালে পানি না থাকায় সেচের দিতে পারছেন চাষীরা। সেচের পানি না পাওয়ায় তরমুজ ক্ষেতে ফলন দেখা দিলেও তরমুজ বড় হচ্ছেনা।
ডাবুয়ার তরমুজ ক্ষেতে সেচ সংকট নিরসনে রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে গতকাল আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বাহাদুর ডাবুয়া খালের উপরের অংশের বাধ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে যারা বাধ দিয়ে বোরো ধান ও সবজি ক্ষেতের চাষাবাদ করছেন তাদের ডাবুয়ায় তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদের জন্য বাধে আটকানো পানি থেকে পানি দিতে অনুরোধ করেন।
তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ কারী কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, ১৫ লাখ টাকা খরচ করে ১৬ একর জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ করেছি । গত দুইদিন থেকে তরমুজ ক্ষেত থেকে দু'কাভার্ড ভ্যান ভতি তরমুজ চট্টগ্রম নগরীতে বিক্রি জন্য নিয়ে যায়। দু"কাভার্ড ভ্যান ভর্তি তরমুজ বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা পাবো বলে আশা করছি। তবে সেচের পানির অভাবে তরমুজ বড় হচ্ছে না।
বৃষ্টি হলে অথবা ডাবুয়া খালের পানি আসলে তরমুজ ক্ষেতের ফলন বাড়বে। বৃষ্টি না হলে ও ডাবুয়া খালে পানি প্রবাহ পাওয়া না গেলে আমিসহ যারা তরমুজ ক্ষেত করেছে তারা বিপুল পরিমান লোকসানের বোঝা বইতে হবে।
প্রতিনিধি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :