হৃদয় হাসান, কুমিল্লা: চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন কুমিল্লার মেয়ে অনামিকা দেবনাথ। সে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী৷ মোট ১৩০০ নম্বরের মধ্যে অনামিকার প্রাপ্ত নম্বর ১২৬৪।
এর আগে গতকাল থেকে কুমিল্লা বোর্ডে ১২৬১ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে তাসনুভা ইসলাম তোহা, এমন একটি সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিলো। কিন্তু, বাস্তবতা ভিন্ন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তোহা নয় ১২৬৪ নম্বর পেয়ে কুমিল্লা বোর্ডে প্রথম হয়েছেন ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা দেবনাথ।
অনামিকার বাড়ি কুমিল্লা নগরীর দিগম্বরীতলা এলাকায়। পড়ালেখার সূত্রে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজেই থাকতো অনামিকা।
অনামিকার বাবা দিলীপ কুমার দেবনাথ ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন এবং মা বীণা দেবনাথ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ঝাঁকুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে অনামিকা দেবনাথের সফলতার কথা শুনেন এই প্রতিবেদক। এসময় অনামিকা দেবনাথ বলেন, সপ্তম শ্রেণী থেকে আমি ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে অধ্যয়নরত। আমি এবার এসএসসি পরীক্ষায় মোট ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৬৪ নাম্বার পেয়েছি । আমার এই ফলাফল এর পেছনে আমি সবচেয়ে বেশি অবদান বলবো আমার শিক্ষকদের। তারা আমাকে গাইডলাইন না দিলে আমি এতদূর আসতে পারতাম না।
ভবিষ্যতে কি করবেন এমন কথা জানতে চাইলে অনামিকা বলেন, আমি বড় হয়ে নিজে কিছু করতে চাই। রিসার্চ ভিত্তিক কাজ করতে আমি পছন্দ করি। তাই নিজে উদ্যোক্তা হবো।
নিজের এই সফলতার চাবিকাঠি হিসেবে অনামিকা উল্লেখ করে বলেন, আমার এই সফলতার মূল চাবিকাঠি হল নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস। নিয়মিত পড়ালেখা করতাম রুটিন করে। যেহেতু ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলাম তাই সব কিছু নিয়ম অনুযায়ী চলতে হতো। সকালে পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান পড়তাম। বিকালে স্কুলের কাজগুলো শেষ করতাম। আর রাতে যে যে বিষয়গুলো সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে পড়াশোনা করতাম।
পড়াশুনার পাশাপাশি অনামিকার কবিতা আবৃতি করার শখ। এটা নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে তার। এদিকে, নিজের মেয়ের সফলতায় খুশি অনামিকার মা বীণা দেবনাথ। এই প্রতিবেদককে বীণা দেবনাথ বলেন, আমার মেয়ের এই সফলতায় আমার চেয়ে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অবদান অনেক বেশি। কারণ ভর্তি হওয়ার পর থেকে সে ক্যাডেট কলেজেই থাকতো। আমি আমার মেয়ের এই ফলাফলে অনেক খুশি। আমি চাই আমার মেয়ে বড় হয়ে দেশ ও দশের সেবা করুক। মানুষের কল্যাণে সে কাজ করুক।
প্রসঙ্গত, এবছর কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২ জন শিক্ষার্থী।