শিরোনাম
◈ একের পর হামলা-হত্যাকাণ্ড, আস‌ছে ছাত্রদের বি‌ক্ষোভ,  ‌বেসামাল দেশ, প্রশাসন নির্লিপ্ত কেন?  ◈ দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে নির্বাচনের পথে বিএনপি ◈ স্প‌্যা‌নিশ লা লিগায় বার্সেলোনার টানা সপ্তম জয় ◈ ইউ‌রো‌পীয় ইউ‌নিয়ন বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে পা‌শে থাক‌তে আগ্রহী ◈ চলতি বাজেটে রাজস্ব খাতে বরাদ্দ বাড়ছে, আগামী বাজেটের রূপরেখা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার ◈ খুনিকে দ্রুত জীবিত গ্রেপ্তার চাই, বন্দুকযুদ্ধের নাটক দেখতে চাই না: ইনকিলাব মঞ্চ ◈ আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের দাপট, গোল্ডসহ ১১ পদক অর্জন ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দেননি. ইনকিলাব মঞ্চ কর্মসূচি দেবে সোমবার ◈ হাদি হত্যা মামলায় নতুন মোড়, সেই ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন ◈ বাংলাদেশের দুর্বল ব্যাংক কিনতে চীনকে প্রস্তাব, সহজ হবে লেনদেন, কমবে ডলারের চাপ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:৩২ বিকাল
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:৩২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্ষতিকর রং ও কেমিক্যাল মেশানো খেজুরের গুড় বিক্রি হচ্ছে বোয়ালমারীতে 

গুড়

সনতচক্রবর্ত্তী: শীত এলেই  ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতি- কারক রং মিশিয়ে তৈরি করছে খেজুরের গুড় বা পাটালি। এক সময় গাছিরা খেজুর গাছ থেকে হাড়ি ভর্তি রস নামিয়ে সেই রস থেকে গুড়,পাটালি তৈরি করতেন।

সেই স্বসাদু গুড়,পাটালি  দিয়ে তৈরি হতো নানা রকম রকম দেশিও পিঠা। এসব এখন অতীত হতে চলেছে। এখন আর আগের মতো খেজুর গাছও নেই, খেজুর রস ও নেই। আর গুড়,পাটালি  ও খুব কম। আর এই সুযোগেই এক শ্রেণির মানুষ চিনিসহ ও বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করছে ভেজাল খেজুর গুড় বা পাটালি । 

এসব ভেজাল গুড় বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় বাজারসহ ও জেলার  বিভিন্ন হাটবাজারে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় এমন অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে উদাসীন। 

জানা গেছে, বাজারে খেজুরের গুড়ের নামে যা বিক্রি হচ্ছে তার অধিকাংশই চিনি,আলু, রং ও আটা দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায়  তৈরি। শীত মৌসুম এলেই এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সামান্য লাভের আশায়  খেজুরের গুড়ের সাথে চিনি ও ফ্লেভার মিশিয়ে খাঁটি খেজুরের গুড় নামে বিক্রি করছে। ১১০ টাকা কেজি দরের চিনি দিয়ে তৈরি উক্ত গুড় ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। যা ক্রেতাদের সাথে বড় ধরনের প্রতারণা।

বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীদের দোকানে বর্তমানে এসব ভেজাল গুড়ে সয়লাব হয়ে গেছে। এদিকে পাইকারী বাজারের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুরের গুড়। খুচরা বাজারগুলোতে দ্বিগুণ দামে খেজুরের গুড় বিক্রি করলেও কর্তৃপক্ষের নেই কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষ যদি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয় তাহলে ভেজাল গুড়ের মাত্রা অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক ভোক্তা।    

এলাকাবাসী জানান, এসব ভেজাল  খেজুর গুড় স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে বাজারজাত করা হয়। 

চিকিৎসকরা জানান, এ ধরনের খাদ্য মানবদেহে প্রবেশের ফলে ক্যানসারের মতো রোগের সৃষ্টি করতে পারে। মানুষের বিভিন্ন অরগান ড্যামেজ হতে পারে। শিশুদের জন্য তো এমন খাদ্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব খাদ্য থেকে অব্যশ্যই বিরত থাকতে হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন  বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন কিংবা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো খাদ্য উৎপাদন করলে দুবছর কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। আমরা এই বিষয়টি অবশ্যই ক্ষতিয়ে দেখবো। এমন প্রমাণ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়