শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাহাড়ের ঢালে ঢালে সবজি চাষে লাভবান আদিবাসীরা 

পাহাড়ের ঢালে ঢালে সবজি চাষ

খাদেমুল বাবুল, জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জের গারো পাহাড়ের ঢালে ঢালে সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন পাহাড়ি অঞ্চলের আদিবাসীরা। শীতকালীন সবজি  লাউ, শিম, বরবটিসহ বিভিন্ন সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে আদিবাসীরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে সবজি চাষ।

জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে  মুলা, টমেটো, ঢেঁড়স, বেগুন, ঝিঙে, পটল, কাকরোল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, খিরা, মিষ্টি কুমড়া, মুখীক, পালংশাক, সজনা, ডাটা, মরিচ, ধনিয়া পাতাসহ নানা সবজির চাষ হচ্ছে। এছাড়া বিশাল এলাকাজুড়ে হচ্ছে হলুদ চাষ।

কঠোর শ্রম-ঘামের বিনিময়ে পাহাড়ি জমিতে ফল-ফসল, শাক-সবজি চাষাবাদের মাধ্যমে জনগণকে খাদ্য জোগান দেন এ অঞ্চলের কৃষক। বিভিন্ন জাতের শীতকালীন শাক-সবজির চাষের ধুম পড়ে গেছে। শীতের সবজি বাজারে বিকিকিনি শুরু হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।

লাউচপাড়া গ্রামের আদিবাসী দিপেন সংমা জানান, লাউ, শিম বরবটি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। তবে বন্য হাতির আক্রমণে প্রায়শই সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া স্থানীয় বন বিভাগও এসব চাষ করতে বাধা দেয়। তারপরে গভীর বনে এসব চাষ করা হয়।

বালিঝুড়ি গ্রামের লাউচাষি নাতিং হাজং জানান,  কয়েকদিনের মধ্যে লাউ চাষ শেষ হবে। করলা ও বরবটি চাষ শুরু হবে।

বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, মাঠকর্মীদের প্রতিনিয়ত তদারকি ও পরামর্শে পাহাড়ি অঞ্চলের উপজাতি ও পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ  বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদে ঝুঁকছেন। কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া গারো পাহাড়ে সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। 

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়