আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়য় অপহণের ২৫ দিন পরেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা ছাত্রী সুলতানা আক্তার (১৫)। গত ৩১ আগস্ট মাদ্রসায় যাওয়াপর পথে জোরবাড়িয়া থেকে কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত কিশোরীর বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাকান্দা নামাপাড়া গ্রামে।
সে জোরবাড়িয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রেমের ফাঁদ পেতে একই গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩৫) এক প্রতিবেশি পুরুষ গত ৩১ আগস্ট ওই কিশোরীকে অপহরণ করেন। ঘটনার দিনই কিশোরীর বাবা শফিকুল ইসলাম মামলা করতে চাইলে ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বাদল মামলা করতে বাধা দেন বলেও অভিযোগ করেন শফিকুল ইসলাম।
পরে ঘটনার তিন দিন পর ফুলবাড়িয়া থানায় জসিম উদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেন তার বাবা।
শফিকুল ইসলাম জানায়, অভিযুক্তি অপহরণকারী জসিম উদ্দিন বিবাহিত। তিনি দুই সন্তানের বাবা। জসিম উদ্দিন কৌশলে কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন।
প্রেমের সম্পর্ক জানাজানির পর কিশোরীর বাবা জসিম উদ্দিনকে সর্তকও করেন। তবে তাতে কোন লাভ হয়নি। গত ৩১ আগস্ট সকালে মাদ্রসায় যাওয়ার পথে জসিম উদ্দিন একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে কিশোরী সুলতানাকে নিয়ে যান।
এরপরন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঝি করেন। কিশো্রীর বাবার আরও অভিযোগ, পুলিশ জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও জসিম উদ্দিনের তিন বড় তিন ভাই ও ভগ্নিপতি কিশোরীর বাবাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
তাঁদের ভাষ্য, মামলা তুলে নিলে কিশোরীকে ফেরত দিবেন। ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে মোবাইল ফোন নাম্বার ট্রেকিং করে গ্রেপ্তার ও কিশোরীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
তবে জসিম উদ্দিন বেশির ভাগ সময় ফোন বন্ধ করে রাখায় কাজটা একটু সময় লাগছে।
গত বৃহস্পতিবারও পুলিশ জসিম উদ্দিনের খোঁজে সারা দিন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালিয়েছে। দ্রুতই জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হবে। সম্পাদনা: আল আমিন
আপনার মতামত লিখুন :