ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদীর মৃত্যুর পর ঝিনাইদহ শহরেও প্রতিবাদের ঢেও আছড়ে পড়ে। মধ্যরাতে ছাত্রজনতার মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে ঝিনাইদহ শহর। মুর্হুমুহু মিছিল ও শ্লোগানে ঘুমন্ত শহর মুহুর্তের মধ্যেই যেন জেগে ওঠে।
মিছিলকারীরা ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও খুনি হাসিনার দোসরদের প্রতিরোধ করার হুসিয়ারী দিয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতার বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের দিয়ে লুটপাট করে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর আরাপপুরের বাসভবন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কাান্তি দাসের হামদহ এলাকার বাসভবন ও সদর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মাসুমের আদর্শ পাড়ার বাড়িতে ক্ষুদ্ধ ছাত্রজনতা ভাংচুর লুটপাট করে। এসময় আওয়ামী লীগ নেতা কনক কান্তি দাসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
কনক কান্তি দাসের ছোট ভাই স্কুল শিক্ষক গোপাল কৃষ্ণ দাস জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে বিক্ষুব্ধ শতাধিক লোকজন। এক পর্যায়ে তারা গেট ভেঙ্গে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে।
হামলাকারীরা আসবাবপত্র বের করে বাড়ির সামনে অগ্নিসংযোগ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে গোপাল কৃষ্ণ দাস স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে নিরাপদে বেরিয়ে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সেনা টহল জোরদার ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষুব্ধ জনতা মধ্যরাতে মিছিল বের করে। পুলিশ তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন সাভাবিক রয়েছে।