কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে রেঞ্জের জঙ্গল নাপোড়ায় পাহাড়ি এলাকায় বন্য হাতির হামলায় নাপোড়া বনবিট কর্মকর্তা অঞ্জন কান্তি বিশ্বাস (৫৬) গুরুতর আহত হয়েছে। গুরুতর আহত বনবিট কর্মকর্তা অঞ্জন কান্তি বিশ্বাসকে আশংকাজনক অবস্থায় চমেকে প্রেরন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চমেক হাসপাতালে তার অপারেশন চলছে বলে বনবিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সুত্রে জানা যায়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়,মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকালে বন টহলরত অবস্থায় জঙ্গল নাপোড়ার পাহাড়ি নেপালের ঘোনা হাতিরডেরা এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ।
তিনি আরোও জানান, নাপোড়া বিট কর্মকর্তা অঞ্জন কান্তি বিশ্বাস বনে টহল দেওয়ার সময় নেপালের ঘোনা হাতির ডেরা এলাকায় হাতির সামনে পড়লে হাতি শুড় দিয়ে তাঁকে আঘাত করে। হাতির আক্রমণে তার ঘাড়ে, পেটে ও কোমরে আঘাত পায়।এদিকে গুরুতর আহত অঞ্জন কান্তি বিশ্বাসকে সহকর্মীরা উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, শারিরীক অবস্থা আশংকা জনক তাকে চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
হাতির হামলায় গুরুতর আহত অঞ্জন কান্তি বিশ্বাস রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের এ ৩ নং ওয়ার্ডের শশাঙ্ক বিমল বিশ্বাসের ছেলে বলে জানা যায়। তিনি বাঁশখালীর জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে রেঞ্জের নাপোড়া বনবিট কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ রাজীব বিশ্বাস বলেন, হাতির আক্রমণে আহত বনবিট কর্মকর্তাকে হাসপাতালে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় ।
উল্লেখ্য চুনতি অভয়ারণ্যে রেঞ্জের আওতাধীন জলদী অভয়ারণ্যে রেঞ্জের বিশাল পাহাড়ি এলাকায় হাতির পাল প্রায় সময় ঘুরে বেড়ায় এবং বাড়িঘর ও ফসলী ক্ষেতের ক্ষতি সাধন করে । বিগত কয়দিন আগেও হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ৮ পরিবারকে ৪ লক্ষ ২৫হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ চেক প্রদান করে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ সহ বনবিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ।