নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী সদর উপজেলায় মো. সামির নামের ৪ বছর বয়সী এক শিশু’সহ মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য ও শিশু অপহরণকারী ব্লেট আজাদকে গ্রেফতার করেছে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ।
সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ড সফিপুর গ্রামের নজির সওদাগরের বাড়ি থেকে ওই মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাঁর কাছ থেকে অপহরণের শিকার শিশু সামিরকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য ব্লেট আজাদ চট্রগ্রামের জনৈক ফজর আলীর ছেলে। অপরদিকে, অপহৃত শিশু সামির চট্রগ্রামের আকবর শাহ থানা এলাকার বিশ্বকলোনীর বাসিন্দা মো. আবু সায়েদের ছেলে।
শিশু সামিরের বাবা মো. আবু সায়েদ বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর সকালে তাঁর ছেলে সামির বাসা থেকে বের হয়ে বাসায় না ফেরায় সবাই তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেন। পরে তাকে না পেয়ে তিনি ওই দিনই আকবর শাহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী অর্ন্তভুক্ত করেন। সোমবার দিবাগত রাতে সুধারাম থানার পুলিশ তাকে ফোন করে জানান তার ছেলে সামিরকে পাচারকারীসহ আটক করা হয়েছে।
বিনোদপুর ইউনিয়নের সফিপুর গ্রামের নজির সওদাগরের বাড়ির আলবুল কাশেম বলেন, শিশু পাচারকারী আজাদ আমাদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় হয়। সে গতকাল সোমবার বিকালে শিশুটিকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসার পর আমার সন্দেহ হয়। পরে তাকে শিশুটির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আজাদ জানায় সে আরেকটি বিয়ে করেছেন, ওই সংসারের ছেলে শিশুটি। কিন্তু তারা সন্দেহপূর্বক তাকে আটক করে গ্রামবাসীর সহযোগীতায় মারধর করলে শিশুটিকে চট্রগ্রামের বিশ^কলোনী থেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে আজাদ স্বীকার করেন এবং শিশুকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রির চুক্তি করেছে বলেও জানান।
স্থানীয় যুবদল নেতা একরাম হোসেন বলেন, নজির সওদাগরের বাড়িতে শিশুসহ অপহরণকারীর অবস্থান জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অপহরণকারী আজাদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি। অপহরণকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই যুবনেতা।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সদর উপজেলার সফিপুর গ্রামের নজির সওদাগরের বাড়ি থেকে মানবপাচারকারী ব্লেট আজাদ’সহ শিশুটিকে উদ্ধার করে। ব্লেট আজাদ মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে চট্রগ্রামে একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুশি জানিয়েছে। ব্লেট আজাদকে চট্রগ্রামের আকবর শাহ থানার পুশিলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।