এন এ মুরাদ, মুরাদনগর; কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মেটংঘর –শ্রীকাইল সড়কের সোনাকান্দা দরবার শরীফ থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি সেতু মারাত্মক ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। সেতুটির মাঝখানে বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো পথচারী ও যানবাহন চালক দুর্ঘটনার ভয় নিয়ে পারাপার করছেন। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত থাকলেও এখনো স্থায়ী সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গর্তের কারণে একটি প্রাইভেটকার সেতুর মাঝখানে আটকে পড়ে নিচের দিকে ঝুঁকে যায়। এতে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গাড়িটি উদ্ধার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, এমন ঘটনা এখন নিয়মিতই ঘটছে এবং যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এলাকাবাসীরা জানান, সেতুর মাঝখান দিয়ে কংক্রিটের স্ল্যাব ধসে নিচে বড় একটি ফাঁপা গর্ত তৈরি হয়েছে। অন্ধকারে বা অসাবধানতাবশত যেকোনো পথচারী বা যানবাহন এই গর্তে পড়ে গুরুতর দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং অল্পের জন্য প্রাণহানি এড়ানো গেছে। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে গর্তের চারপাশে ডালপালা ও লাল কাপড় বেঁধে সতর্কবার্তা দিলেও সেতুর ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।
মটংঘর -শ্রীকাইল সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগপথ। প্রতিদিন কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের চলাচলের পাশাপাশি সিএনজি, মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ছোট মালবাহী যানবাহনের চাপ থাকে। সোনাকান্দা দরবার শরীফে প্রতিদিন শত শত ভক্তের যাতায়াত থাকায় সড়কটির গুরুত্ব আরও বেশি। ফলে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় সব সময় বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি বহুবার জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাদের দাবি, দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা না হলে বড় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলেন, “সেতুটির ক্ষতির বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটি সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের নিরাপত্তাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।”