আজিজুল হক, বেনাপোল প্রতিনিধি: বাংলাদেশি নারী শান্ত্বনা। মানসিক অসুস্থ্যার কারনে ভারতে নিখোঁজ ছিল তিনি। মঙ্গলবার বিকালে ভারতীয় পেট্টাপোল পুলিশ তাকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
পুলিশ ও স্বজনেরা জানান, মানসিক রোগী শান্তনা ৪ সন্তানের জননী। সে ভারসম্য হারিয়ে ১১ বছর আগে ভারতে যায়। পরে ভারত পুলিশের হাতে আটক হয়। বোম্বের একটি জেল হাজতবাস শেষে মানবাধিকার সংগঠন কলিকাতার সংকল্প শেল্টার হোমে ঠাই হয় তার। ২০২৪ সালের জুলাইতে ভারতে তার অবস্থানের কথা জানতে পারেন ঢাকার মানবধিকার কর্মি সাংবাদিক সেলিম খান ও নুরুল হুদা। পরে তার পরিবারের সাথে ও দু দেশের হাইকমিশনের সাথে ১৬ মাস যোগাযোগের পর শান্তনা ফেরে দেশে।
ফেরত আসা নারী শান্ত্বনা বেগম (৪৫) গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রাজিবপুর গ্রামের আবুল সালামের মেয়ে। তার স্বামী স্থানীয় একটি আদালতে মহুরীর কাজ করতেন।
শান্ত্বনার পরিবারের লোকজন জানান, শান্ত্বনা মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। দাম্পত্য জীবনে তিনি ৪টি পুত্র সন্তানের জননী। ১১ বছর আগে নিখোঁজ হন তিনি। দেশে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার কোন খোজ পাওয়া যায়নি। পরিবার থেকে শান্ত্বনা প্রায় প্রায় নিখোঁজ হতেন।।সর্বশেষ শেষ নিখোঁজের ১১ বছর পর ভারতের কানপুরের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে গত বছরের ১৭ জুলাই তার সন্ধ্যান পান পশ্চিমবঙ্গের ঈশ্বর সংকল্প নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ক তপন প্রধান। পরে তপন প্রধান এবং বাংলাদেশের ফটো সাংবাদিক শামসুল হুদা সেলিম খানের সহায়তায় শান্ত্বনা আজ ফিরল দেশে। কাছ পেয়ে খুশি স্বজন ও মানবধিকার কর্মিরা দেশে ফেরত আনতে পেরে খুশি বলে জানান মানবধিকার কর্মি সেলিম খান ও নুরুল হুদা।
বেনাপোল চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি এস এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন। ‘ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত আসা শান্ত্বনাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
যশোরের মানবধিকার সংগঠন জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারএনজিও মাধ্যমে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের বেনাপোল সহকারি প্রোগ্রামার অফিসার শফিকুল ইসলাম।