এন এ মুরাদ, মুরাদনগর: কুমিল্লার মুরাদনগরে ছয় বছর বয়সী শিশু আদিবা জাহান মিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইলে মুক্তিপণ দাবির সূত্র ধরে সোমবার রাতে শিশুটির চাচাতো ভাই ইয়াসিন (১৬) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে বাঙ্গরা বাজার থানার সিমানারপাড় গ্রামের হানিফ মিয়ার মেয়ে আদিবা জাহান মিম নিখোঁজ হয়। ছয় দিন পর পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইয়াসিন মিমকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে গুমের উদ্দেশ্যে শিশুটির গলায় পাথর বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়। নিখোঁজের সাত দিন পর অহেদ ভান্ডারীর পুকুরে ভেসে ওঠে মিমের মরদেহ।
গ্রামবাসীরা জানান, হত্যার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ইয়াসিন বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে শিশুটির পিতার কাছে ফোনে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সে জানায়, মিম বেনাপোল সীমান্তে আছে, তাকে ছাড়াতে ওই টাকা দিতে হবে। তবে পুলিশের তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর তদন্তের জালে ধরা পড়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের আসামি।
এদিকে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোক ও ক্ষোভের ছায়া। স্থানীয়রা দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, “তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তদন্তের স্বার্থে মেয়টির সাথে কি ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না।