শিরোনাম
◈ বাংলাদেশে অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে কাজ করতে দেওয়া হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ৪৮ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা, ভারী বর্ষণের শঙ্কা ◈ খেলতে গিয়ে নদীতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু, চলছে নিখোঁজ দুইজনের উদ্ধারকাজ ◈ শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ তুরস্কে ১,৬০০ বছরের প্রাচীন ওয়াইন তৈরির কারখানা উদ্ধার! ◈ ভারতের ৩৯% অবিবাহিত মনে করেন বিয়ে আর জীবনের মাইলফলক নয়, এটি ঐচ্ছিক ◈ বাংলাদেশে চতুর্থ গণভোটের আলোচনা: সংবিধানে কী আছে, আগের অভিজ্ঞতা কী বলছে ◈ বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ কর‌লো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও কেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হলো না?  ◈ নূর ভাই বেঁচে আছেন, সে বেঁচে থাকা মৃত‍্যুর চেয়ে একটু ভালো: অভিনেতা আফজাল হোসেন

প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৪৩ দুপুর
আপডেট : ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে খ্রীস্টান মিশনারীর দুই কর্মী হত্যায় চারজনের যাবজ্জীবন 

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে  খ্রীস্টান মিশনারীর  দুই এনজিও কর্মী হত্যা মামলায় চারজনকে যাবাজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে তাদেরকে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।  

ঘটনার প্রায় ২০ বছর পর  মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে এ রায় দেন ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শফিউদ্দীন।

এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই চার আসামী পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এরপর পলাতক সাজাপ্রাপ্ত ওই চার আসামির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই দিবাগত রাতে বোয়ালমারী উপজেলার চর ধোপাপাড়া গ্রামে খুন হন তপন রায় মার্ডি (৩০) ও নিকলাল মার্ডি (৩৫) নামের ওই দুই এনজিও কর্মী। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই দুই ব্যক্তি একটি মিশনারী সংস্থার মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন এবং বোয়ালমারীর চর ধোপাপাড়া গ্রামের শিরগ্রামে বিপুল কুমার বাকচীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। 

এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ওই চার আসামি হলেন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৫৩), বোয়ালমারী উপজেলার গুণবাহা ইউনিয়নের গুণবাহা গ্রামের কামরুল হাসান ওরফে কামরুজ্জামান (৪৫), বোয়ালমারী  চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান ওরফে মনির (৪০) ও একই ইউনিয়নের চর ধোপাপাড়া গ্রামের  আব্দুস সামাদ (৬০)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে  তাদের ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক বিপুল কুমার বাকচী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান মাহমুদ ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ ওই চার ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের স্পেশাল জজ আদালতের সরকার পক্ষের কৌশলী (পিপি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, এ মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায়, টাকার লোভে তাঁরা ওই দুই ব্যক্তিকে হত্যা করে। এরপর তাঁরা এ মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করে পলাতক হন। বিলম্বে হলেও এ জোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সস্তুষ্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়