এ আর.আব্বাস সিদ্দিকী ( কুতুবদিয়া): সাগরে মা ইলিশ সংরক্ষণে মাছ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। ইতোমধ্যে, দুঃখ-কষ্টে জেলেরা কোন সহয়তা ছাড়া ১১ দিন কেটেছে। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত জেলেরা বাদ পড়ছেন। অথচ, অন্যরা সুবিধা ভোগী হচ্ছেন। আবার প্রকৃত জেলেরা সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সময়ে ২৫ কেজি চাল পেলেও তা পর্যাপ্ত নয়। তবে, এবারে কুতুবদিয়ার অর্ধেকের বেশি নিবন্ধিত জেলে এ সহায়তা থেকে বঞ্চিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়া উপজেলায় পয়ত্রিশ হাজার জেলে থাকলেও নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১০ হাজার ৯শ ৫৯ জন। কিন্তু, তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৩শ ৬০ জন নিবন্ধিত জেলেদেরকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। ফলে, অর্ধেকের বেশি নিবন্ধিত জেলে এ সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত।
আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের সরওয়ার আলম, আব্দুল খালেকসহ অনেকেই জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে নিবন্ধনকৃত জেলেদের সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। কিন্তু, একটি পরিবারে শুধু মাত্র চাল দিয়ে কিছুই হয় না। আনুষাঙ্গিক অনেক কিছুই তো লাগে। তাই এ নিষেধাজ্ঞা সময়ে কী ভাবে সংসার চলবে সেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা।
লেমশীখালী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল জলিল, মাহামুদুল করিমসহ অনেকেই জানিয়েছেন, নিবন্ধিত জেলে হয়েও সরকারি সহায়তা পাবে না। তাদের জন্য সরকারি বরাদ্দ আসে নি। তবে, চাল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রকৃত জেলেরা।
উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের মো. কালু, ফজল করিম সহ অনেকেই জানিয়েছেন, জেলে পেশার সাথে জড়িত প্রায় ৩০ বছর। এ পেশার উপর নির্ভরশীল তাদের পরিবার। কিন্তু, তারাই সরকারি ভাবে নিবন্ধিত হতে পারেনি। ফলে, কোন সময় চাল পায় না এসব প্রকৃত জেলেরা।
কুতুবদিয়া উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মো. নাজমুস সাকিব জানিয়েছেন, দ্বীপের নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা ১০ হাজার ৯শ ৫৯ জন। এরমধ্যে ৫ হাজার ৩শ ৬০ জেলের মাঝে সরকারি খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১৩৪ মেট্রিক টন চাল বিতরণের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে, সরকারি বরাদ্দ সীমিত থাকায় নির্ধারিত সংখ্যক জেলেকেই সহায়তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে জানান তিনি।