শিরোনাম
◈ তোমার মাথার দাম ১০ কোটি, ফোন করে বলেছিল আমাকে : সালাউদ্দিন আম্মার ◈ এবার ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে সিআইএকে অনুমোদন ট্রাম্পের ◈ ইরানের নতুন ড্রোন 'আরশ-২' ইসরাইল-আমেরিকার যেকোনো ঘাঁটি ধ্বংসের সক্ষমতা! ◈ ‌দে‌শের রাজনী‌তি চল‌ছে কোন প‌থে,  নিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি কি সরকারের মুখােমুখি? ◈ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বিরুদ্ধে মামলা, হতে পারে জেল ◈ ব্রা‌জিল নভেম্বরে সেনেগাল ও তিউনিশিয়ার বিরু‌দ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ◈ আগামী বছরের টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি বিশ্বকাপের ২০ দল চূড়ান্ত, শেষ জায়গা দখল করলো কারা?  ◈ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি একাই ছাড়িয়ে চলেছে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও মরক্কোর মোট রপ্তানি ◈ ইসি’র পরিকল্পনা: বড় জেলায় একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা, দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের হাতে ◈ জুলাই সনদ বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট মাইলফলক: খালেদা জিয়া

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:১৮ বিকাল
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বোয়ালখালী পাউবো'র খাল ভাঙন রোধ তীর সংরক্ষণের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কর্ণফুলী নদী ও এর সংযুক্ত খালগুলোর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। দীর্ঘদিনের নদীভাঙনের আতঙ্কে থাকা স্থানীয়রা এখন আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর তীরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন প্রতিরোধে কয়েকটি অংশে ব্লক স্থাপন ও তীর সংরক্ষণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, কয়েক বছর ধরে কর্ণফুলীর ভাঙনে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও রাস্তা বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। এবার তীর সংরক্ষণ কাজের ফলে এলাকার মানুষ ভাঙনের ভয় কাটিয়ে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।

পাউবোর কর্মকর্তারা জানান, কাজের গুণগত মান ও সময়সীমা নিশ্চিত করতে নিয়মিত তদারকি চলছে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে বোয়ালখালী ও আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের ভাঙন ঝুঁকি স্থায়ীভাবে কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৪.০৯ কোটি টাকা। কাজ শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এবং ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্তির পরিকল্পনা রয়েছে।উপজেলাবাসী মনে করছেন, প্রকল্পটি কৃষি উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি ব্যবস্থাপনায় একটি বড় অগ্রগতি।

প্রকল্পের অগ্রগতি:

সংযুক্ত খালে ভাঙন রোধকল্পে তীর সংরক্ষণ কাজের অগ্রগতি নিম্নরূপ:  
•সৈয়দ খাল, নয়া রাস্তামাথা ও বড়ুয়া পাড়া: ২৫% ইব্রাহীম খাল, মসজিদ ঘাট ও ভারাম্বাঘাট: ৩০% সাতঘারিয়া পাড়া, শেখপাড়া, শ্রীপুর: ৬০%
•আজগর আলী মাজার, মিলিটারিপুর: ২৬%আমু মাঝি, মোজাফর তালুকদার, শেখ আহমদ, মুন্সি বাড়ি: ১৯% ননইয়ারমার ঘাট, দুমুখো: ১০% আনিস তালুকদার পাড়া •নজিরখালী খাল: ১৬% সগীর আহমদ, লাল মোহাম্মদ তালুকদারপাড়া, শেখপাড়া, বড়ুয়াপাড়া, বিনয় বাঁশি: ৩০%।আজিমপাড়া, মসজিদ ঘাট, জেলেপাড়া: ৩৭%।•অর্থনৈতিক অগ্রগতি: ১৮.০০% (২৪১০.৭০) লক্ষ টাকা, চলতি অর্থবর্ষের এডিপি/আরএডিপি বরাদ্দ ৬০০০.০০ লক্ষ টাকা)।

বোয়ালখালী উপজেলা ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই উপজেলার উপর দিয়ে বহমান কর্ণফুলী নদী দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। খরস্রোতা কর্ণফুলী নদী ভারতের আসাম রাজ্যের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বরকল উপজেলা দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। এরপর এটি ভাটির দিকে পার্বত্য বনাঞ্চল পরিবেষ্টিত পাহাড়ের বিভিন্ন আঁকা-বাঁকা পথে প্রবাহিত হয়ে কাপ্তাই লেকের ওপর দিয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, বোয়ালখালী, আনোয়ারা উপজেলা এবং চট্টগ্রাম শহরের মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।

বোয়ালখালী খাল বান্দরবান পার্বত্য জেলার গহীন অরণ্য থেকে উৎপত্তি হয়ে দীর্ঘ আঁকা-বাঁকা পথে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিলিত হয়। এছাড়া ছন্দরীয়া খাল, রাইখালীখাল ও ভারাম্বা খাল বান্দরবান পার্বত্য জেলার গহীন জঙ্গল থেকে উৎপত্তি হয়ে বোয়ালখালী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিলিত হয়েছে।

রাঙ্গামাটি বিভাগের পানি উন্নয়ন বোর্ডের  নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, “বোয়ালখালী নদী ভাঙনের কারণে বছরের পর বছর ধরে ওই এলাকায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করলেও তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট নদী–খাল সমূহের তীর ভাঙন রোধে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করছি, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের আগে কাজ সম্পন্ন হবে। ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণের নির্মাণকাজ শুষ্ক বা শীতকালীন মৌসুমে করা হয়; বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাজ করা সম্ভব হয় না।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়