ইমরুল কায়েশ (যশোর): ৪ দিনের ব্যবধানে যশোরের শার্শায় আবারো ভ্যান ছিনতাইয়ের পর চালককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে । থানায় অভিযোগ দায়েরের ৩ দিনের মাথায় মঙ্গলবার সকালে শার্শার কাজিরবেড় গ্রামের একটি বসত বাড়ি থেকে আব্দুল্লা নামে এক ভ্যান চালকের বাক্স বন্দী অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও সন্দেহ জনক ৩ জনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে জনতা।
এলাকাবাসী জানায়, গত ১০ অক্টোবর প্রতিদিনের মত বাড়ি থেকে জিবীকা নির্বাহের উদ্দেশে ভ্যান নিয়ে বের হয় শার্শা ইউনিয়নের গাতিপাড়া গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে আব্দুল্লা। পরে রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা আত্মীয় স্বজনের কাছে খোজ খবর শেষে ১১ অক্টোবর পুলিশে নিখোজের অভিযোগ দায়ের করে। এসময় পুলিশ খোজ খবর নিয়ে শার্শার বসতপুর গ্রামের প্রবাসী সুমনের তাড়িতে তল্লাশী করে।
পরে তালা বদ্ধ একটি রুমে কাটের বাস্কের মধ্যে অর্ধ গলিত অবস্থায় ভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বজন ও শতশত গ্রাম বাসী ভিড় জমায়। এসময় সন্দেহ জনক সুমনের বড় ভাই ইজিবাইক চালক রফিকুল তার স্ত্রী সন্তানকে অবরুদ্ধ করে রাখে। তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জন ক্ষম মানুষটাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবার। হত্যার সাথে জড়িতদের কঠিন শাস্তি দাবি করেন তারা।
নিহতের স্ত্রী ফেরদৌসি জানান, ছেলে,মেয়েদের জন্য যাওয়ার আগে বলেছিল মিস্টি নিয়ে ফিরবে। আর ফিরলো না। দুই সন্তানকে নিয়ে অসহায় হয়ে গেলাম। স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছেন তিনি।
প্রতিবেশি রহমত জানান, গত ১০ অক্টোবর পাশ্ববর্তী গ্রামের মাসুম বিল্লাহ নামে আর এক ভ্যানচালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ভ্যান ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করন হয়েছিল। বিচারহীনতার কারনে এমন হত্যার ঘটনা বাড়ছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।