শিরোনাম
◈ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ইসির ৬১ কর্মকর্তার বদলি ◈ জাকসু নির্বাচন বর্জনের পর ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ◈ বরিশালে ছাত্রদল শিবির সংঘর্ষ আহত ২৫ ◈ হংকংয়ের বিরু‌দ্ধে জয় দি‌য়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের ◈ আসন্ন বিশ্বকাপের ম্যাচ অফিশিয়াল সবাই নারী, আছেন বাংলাদেশের জেসিও ◈ আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের পথরেখা নির্ধারণ করবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ পুলিশের স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত সরকারের ◈ এবার বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ফ্রান্স, গ্রেফতার ৪ শতাধিক ◈ সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্জন বলতে কিছুই থাকবে না: সালাহউদ্দিন ◈ যুদ্ধের প্রস্তুতি, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুঙ্কার দিল কাতার! (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩২ বিকাল
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০১:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার কাদেরকে রাজাকারের সন্তান ইঙ্গিত করলেন ফজলুর রহমান! (ভিডিও)

বাঁচব না হয় মরব, কোনো রাজাকার-আলবদরের বাচ্চা মুক্তিযুদ্ধকে এ দেশ থেকে মুছতে পারবে না—এমন মন্তব্য করেছেন পদ স্থগিত হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইন বাজার শেডে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফজলুর রহমান বলেন, ‘যখন দেখছি মুক্তিযুদ্ধ রাখবে না। যখন দেখছি মুক্তিযুদ্ধকে কবর দিয়ে দিবে। যখন দেখছি ৩০ লাখ মানুষের রক্ত এ দেশে বৃথা যাবে। যখন দেখছি দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের মূল্য থাকবে না।

‘তখন আমি মনে করেছি, না আমি ছাড়ব না। আমি তাদের ছাড়ব না, যারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে। সেই কথা বলতে বলতে এমন এক জায়গায় পৌঁছলাম, যখন আমার সঙ্গে যুক্তিতে পারে না তখন ওরা বলা শুরু করল, আরে ও তো পাগল, ও তো ফজু পাগলা। আমাকে পাগল উপাধি দিয়ে রাজাকারেরা বাঁচতে চায়।’

অ্যাডভোকেট ফজলুর বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে সারা জাতিকে শপথ করাতে চাই—আমি কোনো দিন মুক্তিযুদ্ধের বাইরে কোনো কাজ করব না, মুক্তিযুদ্ধের বাইরে যাব না। মুক্তিযুদ্ধ এ দেশ থেকে যাবে না।

‘এই যে স্টেজে বসে আছেন মুক্তিযোদ্ধারা, তাঁদের সাক্ষী রেখে বলছি, তাঁদের আমি স্যালুট দিয়ে বলছি, হে মুক্তিযোদ্ধারা, আমি তোমাদের ভাই। তোমরা আমার সঙ্গে আছ, তোমরা আমাকে আনছ, কথা দিয়ে গেলাম—জীবন অথবা মৃত্যু, কোনো রাজাকার-আলবদরের বাচ্চা মুক্তিযুদ্ধকে এ দেশ থেকে বিনাশ করতে পারবে না।’

ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার মানুষের উদ্দেশে ফজলুর রহমান বলেন, ‘জীবনে-মরণে কোনো দিন আমি আপনাদের ছেড়ে যাব না। মৃত্যুর পর আমার লাশটা হাওরে আসবে, আপনাদের এলাকায় আসবে। আমি মরার পরে আপনাদের সিদ্ধান্তে এই এলাকাতে আমি কবরে ঘুমাব। আমি আপনাদের ছেড়ে যাব না।’

পদ স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, ‘দল আমাকে তিন মাসের শাস্তি দিয়েছে, এটা আমি মানি। কিন্তু আমি কোনো অপরাধী মানুষ না। আগামী নির্বাচন আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমি আমার দলের মার্কা চাই—ধানের শিষ চাই।’

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ ভূঁইয়া, ফজলুর রহমানের সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, ছেলে ব্যারিস্টার অভীক রহমান প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সহিদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মোতালিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কুটিল চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল লতিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনিল চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাদেক মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল খালেক প্রমুখ।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে বিকেলে সভা শুরুর আগ থেকে বিএনপি নেতা-কর্মী, সাধারণ মানুষ নদী ও সড়কপথে মিছিল নিয়ে মিঠামইন সদরে আসেন। এসব মিছিলে ফজলুর রহমানের পক্ষে স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় তিনি হাজার হাজার জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হন। উৎস: আজকের পত্রিকা ও এনটিভি অনলাইন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়