এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে কাঠফাটা রোদ কিংবা মুষল ধারে বৃষ্টি বিলে গিয়ে শাপলা তাকে তুলতেই হবে। তা না হলে সংসার চলবে কি করে? বৃষ্টির মৌসুমে বিলের শাপলা তাদের অন্ন যোগায়, অন্যদিকে সন্তানদের পড়া-লেখার খরজ চালাতে হয়। দুই মেয়ে একজনের অনার্স শেষের দিকে, আপরজন এইস,এস,সি পড়ছে। তাদের প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরজের পাশা-পাশি রুটি-রুজিতো আছেই। একথা বলছিলেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী মধুমতির অপর প্রান্তের পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মিঠারকুল গ্রামের সুশেন মন্ডল (৫৫)।
সুশেন চিতলমারী উপজেলার বাখেরগঞ্জ বাজারে শাপলা বিক্রিকালিন সময় এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি জানান ডাকডাকা ভোরে প্রতিনিয়ত নৌকা নিয়ে স্থানীয় বাসবাড়িয়া বিলে শাপলা তুলতেযান। বর্ষা মৌসুমে শাপলা বিক্রি করেই চলে তার সংসার। চলে দুই কলেজ শিক্ষার্থী মেয়ের পড়া-লেখা। শুখনা মৌসুমে মাছ বিক্রিসহ নানাকাজের মধ্যে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন তিনি।
এ সময় তার পাশে থাকা বাসবাড়িয়া গ্রামের শাপলা বিক্রেতা শাহীন শেখ (২৩) জানান, তিনি বিল থেকে তুলে আনা শাপলা পাইকারী দরে কিনে আনেন এবং তা বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করেন। এর থেকে মুনফা আসে তাদিয়ে পরিবারের কিছুটা খরজ চলে যায়।
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দেপাড়া গ্রামের ইয়াসিনএস্কেন( ২২) বলেন, নৌকা নেই তাই শাপলা তুলতে পারিনা। পাইকারী কিনে হাট-বাজারে বিক্রি করি, যা কিছু লাভ হয় আলাহামদুলিল্লাহ। বাখেরগঞ্জ হাটের ইজারাদার শেখ মুজিবর এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এদের কাছে খাজনার টাকা চেয়ে নেইনা। ওরা যা কিছুদেয় তাতেই খুশি।