জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রুবিয়া বেগম (৪৭) নামে এক গর্ভবতী নারীকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার গর্ভপাত হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বামী। বর্তমানে তিনি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভুক্তভোগীর স্বামী আজিবর রহমান জানান, গত ৩০ আগস্ট এ ঘটনায় তিনি আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সেদিন সকালে আসামিরা প্রথমে তার স্ত্রী রুবিয়া বেগম ও ৮৫ বছর বয়সী মাতা আম্বিয়া বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে আব্দুস সাত্তার (৬০) তার মাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। স্ত্রী রুবিয়া বেগম মাকে রক্ষা করতে গেলে জসিম উদ্দিন (২৫) লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। পরে দলবেঁধে এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালানো হয়।
অন্তঃসত্ত্বা থাকা সত্ত্বেও হামলাকারীরা তার তলপেটে আঘাত করলে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, “জমি নিয়ে আগেও বিরোধ ছিল। কিন্তু এভাবে দলবেঁধে আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে আক্রমণ করবে তা কল্পনাও করিনি। আমার স্ত্রীর জীবন এখনও ঝুঁকিতে আছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”
অসুস্থ রুবিয়া বেগমও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে প্রধান আসামি জসিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর বলেন, “অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্তে নেমেছে।