রুকুনুজ্জামান, পার্বতীপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ৯৭ বছরের বৃদ্ধাকে ছেলের বউ পুলিশের সহায়তায় ঘর ছাড়া করলেন।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ১ সেপ্টেম্বর তারিখ দিবাগত মধ্যরাতে ছেলের বউ পুলিশের সহায়তায় ওই বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
ঘটনাটি ঘটেছে পার্বতীপুর উপজেলাধীন ২নং মন্মথপুর ইউনিয়নের চাকলা বাজারের চকিদারপাড়া গ্রামে। বিধবা বৃদ্ধা আছরা বেওয়া ঐ গ্রামের মৃত এছাহাক আলী সরদারের স্ত্রী। গত ১ সেপ্টেম্বর রাত্রি ২ টার দিকে ছেলের স্ত্রী রীনা(৪৫) ও পুলিশের সহায়তায় আছরা বেওয়া(৯৭) কে ঘর থেকে টেনে-হেচড়ে বাড়ির বাইরে বের করে দেন।
ঘটনা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পার্বতীপুর উপজেলাধীন ২নং মন্মথপুর ইউনিয়নের চাকলা বাজারের চকিদারপাড়া গ্রামে মৃত এছাহাক আলী সরদারের ছেলে মৃত আলতাফ মাহমুদ কে তার বোন মায়ের আশ্রয় ও দেখাশোনা করার শর্তে ৭ শতাংশ জমি হেবা দলিল করে দেন।
আলতাফ মাহমুদ এর মৃত্যুর পরে তার স্ত্রী রীনা বেগম জায়গাটি বিক্রি করে সৈয়দপুর উপজেলার লাভলী বেগম(৫০) নামীয় এক ব্যক্তির কাছে। গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে কিল-ঘুসি মেরে ঘর থেকে বের করার কথা জানান বিধবা বৃদ্ধা আছরা বেওয়া(৯৭)। তিনি বলেন, আমার সব কিছুই ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। যেমন, খাট-তোষক-চেয়ার-হাড়ি-পাতিল-কাথা-বালিশ এবং বস্তা বাধা কাপড় ইত্যাদি।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লা আল মামুন সাংবাদিকদের জানান এলাকায় যে গুজবটি ছড়িয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ৯৯৯ এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পারিবারিক কলোহের ঘটনা দেখে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি আমি ইতিমধ্যে শুনেছি এবং আমি ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ আলী শাহ্ কে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে বলি। তিনি পরিদর্শনে গিয়ে আমাকে অবগত করেন। আমি আছরা বেওয়া(৯৭) কে আপাতত আশ্রয়ণ কেন্দ্র এ থাকার ব্যবস্থা করতে চাইলে তার মেয়ে আপত্তি করায় আছরা বেওয়া(৯৭) কে তার মেয়ের বাসায় পাঠানো হয়। আমি মডেল থানার ওসি আব্দুল্লা আল মামুন এর কথা বলে এ বিষয়ে আমরা একটি আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমরা আইনগত ভাবে এটি দ্রুত সমাধান করব।