রুকুনুজ্জামান, পার্বতীপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর পার্বতীপুরে পরীক্ষার ফ্রি না দেওয়ায় পরীক্ষা হলে ছাত্রীর সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করেছে সহকারি শিক্ষক।
পাবর্তীপুর প্রান কেন্দ্রে অবস্থতি পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী মারিয়া আকতার রিয়া গত ১ সেপেম্বর সকালে ইংরাজী ১ ম পত্রের পরিক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা চলাকালিন স্কুলের সহকারী শিক্ষক ( বিএসসি) মিজানুর রহমার রুমে ঢুকে ছাত্রীকে দাড় করিয়ে বলে তোর বাপের স্কুল, বাপের খাতা কলম দিযে পরিক্ষা দিচ্ছ। এ সময় ছাত্রীটি কেঁদে বাড়িতে চলে আসে তার পিতা মাতাকে অবহিত করে এবং ছাত্রী রিযা বলেন আব্বু আমি আর ঐ স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাবনা তোমরা যদি পরিক্ষা দিতে বাধ্য কর আমি আত্মহত্যা করবো।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় দশম শ্রেণীর মোট ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫৭ জন প্রথম দিন পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৭১জন। মারিয়া আক্তার রিয়া ঘটনার দিন থেকে স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছে। এব্যাপারে স্কুলের পরীক্ষার রুমে দাযিত্ব থাকা দুইজন শিক্ষক বলেন এভাবে রুমে ঢুকে সরাসরি পরীক্ষ চলাকালিন সময় সবার সামনে এভাবে অসৌজন্যমুলক আচরন করা ঠিক হয়নি। তার পরিক্ষা ফি বাকি আছে ভাল কথা, পরে ছাত্রীটিকে ভাল ভাবে বলতে পারতো।
শিক্ষক মিজানুর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান ঘটনা তিনি সত্যতা স্বীকার করেন যে তার পরিবারের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন সুসম্পর্ক তাই নিজের মনে করে কথাটা বলি কিন্তু বলাতে যে ঘটনাটি এতদূর ঘটবে তা আমার জানা ছিল না।
বিযয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক মানিক কুমার বলেন, ঘটনাটা শুনে আমি তদন্ত করে দেখি শিক্ষক মিজানুর রহমান ছাত্রীর সঙ্গে যে আচরন করেছে সেটা তিনি ঠিক করেনি এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মিরাজুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ আমি শুনেছি তবে লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।