তপু সরকার হারুন, জেলা প্রতিনিধি শেরপুরঃ- শেরপুরের স্কুলছাত্রী মায়মুনা আক্তারকে (১৩) হত্যার অভিযোগে তার ফুফা ছাইদুল ইসলামকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘ঘরজামাই’ বলে উপহাস করায় মায়মুনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন ছাইদুল। আদালতে ছাইদুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাতে ২৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ওই তথ্য জানায় পুলিশ।
মায়মুনা নালিতাবাড়ী সদর ইউনিয়নের ভালুকাকুড়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে। সে কালাপাগলা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নালিতাবাড়ী সদর ইউনিয়নের ভালুকাকুড়া গ্রামের একটি ডোবার কচুরিপানার ভেতর থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত শনিবার দুপুরে সহপাঠীদের সঙ্গে পুতুল খেলার সময় ফুল আনতে বাড়ির পাশের জঙ্গলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল সে। ওই ঘটনায় মায়মুনার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
পরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ঢাকার খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকা থেকে ছাইদুলকে গ্রেফতার করে। ছাইদুল ময়মনসিংহে হালুয়াঘাট উপজেলার ধুরাইল এলাকার রইছ উদ্দিনের ছেলে। আজ দুপুরে আদালতে হাজির করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ঘরজামাই বলে উপহাস করায় আসামি ক্ষোভে ভিকটিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন।