শিরোনাম
◈ শেহবাজ শরীফের পক্ষ থেকে ইসহাহাক দার বেগম জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান  ◈ সার্কের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ  ◈ কমিশনের সঙ্গে আইনজ্ঞদের বৈঠক: গণভোট বা বিশেষ আদেশে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ ◈ সারা দেশের নেতাকর্মীদের নতুন বার্তা দিল এনসিপি ◈ যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি, ভিডিও ভাইরাল ◈ ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবি ভিসি, দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা ◈ ইসিতে ধাক্কাধাক্কি: রুমিন ফারহানার অনুসারীদের মহাসড়ক অবরোধ, এনসিপির বিক্ষোভ ◈ সাকিব আল হাসান আবারও বিশ্ব ক্রিকেটে এক অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করলেন ◈ যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন ভিসার ফি বাড়ছে প্রায় ১৫০ শতাংশ ◈ বাবার পর এবার কনটেন্ট নির্মাতা তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:৪৩ বিকাল
আপডেট : ২৫ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অভয়নগরে অস্থির সবজি, মাছের বাজার,মরিচে আগুন

শেখ মোঃ আবুল বাসার, অভয়নগর (যশোর) : যশোরের অভয়নগরের বিভিন্ন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েই চলেছে । গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন, টমেটো, বরবটি, লাউসহ অন্যান্য সবজির দামও খুচরা বাজারে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। 

ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির জন্য অতি বৃষ্টিতে উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে।  

২৪ আগস্ট (রবিবার) উপজেলার  নওয়াপাড়া সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া ও বেগুন ১২০ থেকে ১৫০, ওল ৮০ থেকে ১০০,করলা ৮০ থেকে ১০০, বরবটি ৬০ থেকে ৮০, লাউ প্রতিটি  ৭০ থেকে ১০০, পটল ৫০ থেকে ৬০, ঝিঙে ৮০ থেকে ১০০, মিষ্টি  কুমড়া ৫০ থেকে ৬০, রসুন ১০০ থেকে ১২০, আলু ২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। 

খুচরা বিক্রেতাদের দাবি , আড়ৎ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। 

সবচেয়ে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এক সপ্তাহ আগে কেজি প্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া মরিচ এখন বাজারে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

সবজির সাথে দাম বেড়েছে মাছ, মাংস ও ডিমের দাম। গত সপ্তাহে বয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ এখন ১৮০ টাকা, বয়লার মুরগির সাথে বেড়েছে সোনালী ও দেশি মুরগির দাম। ডিমের প্রকার ভেদে ডজনে বেড়েছে ১০ থেকে ১৮ টাকা পর্যন্ত। 

মাছের বাজারের চিত্র আরও ভয়াবহ, গরিবের মাছ পাংগাশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি,  এক কেজি আকারের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকায়,  বেড়েই চলছে বাটা, কাতলা, তেলাপিয়া, মৃগেল সহ প্রতিটি মাছের দাম ।

মাছ কিনতে আসা সোহাগ নামের এক ক্রেতা বলেন, এভাবে মাছের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মাছ না খেয়েই থাকতে হবে। 

সিন্ডিকেট করে মাছের দাম বৃদ্ধির অভিযোগের ভিত্তিতে নওয়াপাড়া বাজারের মাছের আড়তদার কামরুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অধিকাংশ মাছের ঘের ডুবে যাওয়াতে মাছের উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়ার জন্য মাছের দাম বেড়ে গেছে। 

অধিকাংশ ক্রেতাদের অভিযোগ  কার্যকর মনিটরিং না থাকায় আড়ৎ থেকে খুচরা পর্যন্ত দামের অনেক পার্থক্য তৈরি হচ্ছে । এতে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়ে কষ্ট হচ্ছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের। 

অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, জলাবদ্ধতা ও অতি বৃষ্টিতে উপজেলার ৭০ হেক্টর  কৃষি জমির ফসল সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যাওয়াতে সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ কমে গেছে। বৃষ্টি কমে গেলে সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে বলে আশা করছি। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়