নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখতে ৫টি বেসরকারি সংস্থার সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। রোববার দুপুরে রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন ভবনে স্বাস্থ্যসেবাকে মানসম্মত, ন্যায্য ও টেকসই করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অংশীদার বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাথে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মারগুফ আরেফ জাহাঙ্গীর, হেলথ স্পেশালিস্ট, ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে এডিবি অর্থায়নে বাস্তবায়িত আরবান প্রাইমারী হেলথকেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের আওতায় ডিএনসিসি নগর মাতৃসদন ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে নগরবাসীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছিল। প্রকল্পটির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেষ হলেও ১ জুলাই থেকে ডিএনসিসির সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
চুক্তির আওতায় মগবাজার এলাকায় নারী মৈত্রীর দুটি ইউনিট, মোহাম্মদপুর এলাকায় নারী মৈত্রী, মিরপুর মাজার রোড এলাকায় ঢাকা আহসানিয়া মিশন, বর্ধিত পল্লবীতে বাপসা, উত্তরা এলাকায় ইউটিপিএস এবং সাতারকুল এলাকায় পিএসটিসি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর মধ্যে মগবাজার এলাকার ৬টি সিআরএইচসিসি’র মধ্যে ৪টি ডিএনসিসির নিজস্ব ভবনে পরিচালিত হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নগরবাসীর মৌলিক অধিকার। এ সেবার কার্যকর বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও মনিটরিং নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একসাথে কাজ করবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন অনুযায়ী নগর স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্ব ঐতিহাসিক ও আইনগতভাবে সিটি কর্পোরেশনের উপর ন্যস্ত। ডিএনসিসি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে অংশীদার এনজিওগুলোর নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ ও ডিএনসিসি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।