এ এইচ সবুজ,গাজীপুর: ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপে ১৮ কিলোমিটার অংশ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়। তবে এক্সপ্রেসওয়েতে সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই অংশে কোনো ইউটার্ন থাকবে না। যানবাহনের ধরন অনুযায়ী টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালের মে মাসে। গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে মদনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পুরো এক্সপ্রেসওয়ে হস্তান্তরের সময়সীমা হলো ২০২৬ সালের জুন মাস।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, 'বড় শহরগুলোতে এরকম বাইপাস করতে হবে যেন, বড় শহরগুলোকে যানজট মুক্ত করতে পারি। তবে সড়ক নির্মাণের ব্যয় কমাতে হবে এবং টেকনোলজি বাড়াতে হবে। সড়ক এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন বছর বছর খারাপ না হয়। আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখছি সব রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে, চলাচল করা যাচ্ছে না। সিলেট থেকে আমি প্রায় প্রতিদিন ফোন পাই রাস্তা খারাপের বিষয়ে। আমাদের প্রকৌশলীরা যদি চান ৩০-৪০ শতাংশ ব্যয় কমাতে পারেন।'
তিনি আরো বলেন, 'আমি সব যায়গায়, সবসময় বলে থাকি আর কতকাল বাহির থেকে লোক এনে রাস্তা বানানো হবে? কতকাল বাহির থেকে লোক এসে সেতু, রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যাবে? এজন্য আমাদের দেশের প্রকৌশলী দিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। আমাদের বিদেশি নির্ভরশীলতা থেকে ক্রমেই মুক্ত হতে হবে।'
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ১৮ কিলোমিটার কাজ শেষ, তাই যান চলাচলের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তা ও গতি নিশ্চিত করতে এক্সপ্রেসওয়েতে সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই অংশে কোনো ইউটার্ন থাকবে না বরে জানানো হয়েছে। যানবাহনের ধরন অনুযায়ী টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ কিলোমিটার অংশে আংশিকভাবে টোল আদায় শুরু হচ্ছে।
এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশ চালু হলে রাজধানীর আশপাশের যানজট কিছুটা হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে পণ্য পরিবহন আরো দ্রুত, সাশ্রয়ী ও কার্যকর হবে। যানজট কমাবে, বাড়াবে অর্থনৈতিক গতি। পুরো এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে এটি দেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি বিকল্প রুট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন প্রমুখ।
####