শিরোনাম
◈ ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুটের হোতা বাহার-রজন গা ঢাকা, প্রশাসনের নীরবতায় বছরে শতকোটি টাকার চাঁদাবাজি ◈ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব হচ্ছেন রেহানা পারভীন ◈ অপরাধ দমনে দেশজুড়ে জোরালো হচ্ছে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-মাদকসহ গ্রেপ্তার ৭০ ◈ মাত্র ৫০ ডলারে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে চুরি হওয়া ব্যক্তিগত তথ্য ও পাসওয়ার্ড, বিতর্কে Farnsworth Intelligence ◈ ফারুকীর অস্ত্রোপচারসহ সার্বিক পরিস্থিতি জানালেন তিশা ◈ হায়দরাবাদে দেহ ব্যবসা থেকে বাংলাদেশি কিশোরী উদ্ধার, ফের আলোচনায় আন্তদেশীয় মানব পাচার চক্র ◈ বিদ্যালয়ে ঢুকে সহকারী শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরানো, বিএনপি-ছাত্রদলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ◈ আমরা বাসস্ট্যান্ড- লঞ্চঘাট দখল করি, আর জামায়াত দখল করে বিশ্ববিদ্যালয়: বিএনপি নেতা আলতাফ (ভিডিও) ◈ তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতারে আলটিমেটাম ◈ রাখাইনে সংঘাত: সীমান্তে ৫০ হাজার রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢোকার আশঙ্কা

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ১২:২৫ রাত
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদ্যালয়ে ঢুকে সহকারী শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরানো, বিএনপি-ছাত্রদলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সাতক্ষীরার একটি বিদ্যালয়ে ঢুকে এক সহকারী শিক্ষককে মারধর করে বাজারে ঘোরানোর ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক শফিকুর রহমান সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেছেন।

বল্লী মুজিবুর রহমান স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে এম আজাহারুজ্জামান বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুর রহমান একজন ছাত্রীকে আলাদাভাবে বিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন—এমন অভিযোগ এনে ওই শিক্ষককে তাঁর অফিসকক্ষে মারধর করেন বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর ১০ থেকে ১২ জন ওই শিক্ষককে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাঁকে মারতে মারতে বাজার ঘুরিয়েছেন। একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে তাঁকে আটকে রাখা হয়। পরে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গিয়ে শফিকুর রহমানকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

শিক্ষক শফিকুর রহমানের থানায় করা অভিযোগে একই ধরনের বক্তব্য উঠে আসে। অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য শহিনুর রহমান, কর্মী মো. কামরুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, ইউপি বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম আক্তার, বিএনপি কর্মী আব্দুল গনি, ইউপি সদস্য আব্দুর রইচ, ইসলাম কবিরাজ, বল্লী ইউপি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামানসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এই বিষয়ে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম আক্তার মুঠোফোনে বলেন, রোববার সকালের দিকে ওই বিদ্যালয়ে এক শিক্ষককের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে সাতক্ষীরা সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁদের ডেকে বিষয়টি শুনেছেন। এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে নিজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন সেলিম আক্তার।

বল্লী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জান জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। শনিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আবার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ জন্য সকালে তিনি (রাশেদুজ্জামান) ও স্থানীয় কয়েকজন বিদ্যালয়ে গেলে উত্তেজিত জনতা শিক্ষক শফিকুর রহমানকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিয়েও পরিস্থিতি ঠেকাতে পারেননি বলে দাবি রাশেদুজ্জামানের।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ বলেন, তিনি দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি শুনে শিক্ষক শফিকুর রহমানকে মামলা করার জন্য বলেছেন। আর শিক্ষকের যদি কোনো অপরাধ থাকে তাহলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়