হাবিবুর রহমান সোহেল, কক্সবাজার : কক্সবাজারের রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চিরঞ্জীব বড়ুয়ার ঘুষ দাবির অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ার মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ৬ মিনিটের একটি অডিও ক্লিপে চিরঞ্জীব বড়ুয়াকে এক মামলার তদন্তে অনুকূল প্রতিবেদন দেওয়ার বিনিময়ে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করতে শোনা যায়। এতে স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং পুলিশের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
অডিওতে এসআই চিরঞ্জীব মামলার বাদী রুপনা বড়ুয়ার দেবর সোহেল বড়ুয়াকে বলেন,
“তোমাদের মামলার বিষয়টি নিয়ে আমি স্যারদের সঙ্গে কথা বলেছি। একজন হলে ৭০ হাজার, দুইজন হলে ১ লাখ। কাল সকালেই টাকা দিতে হবে।”
এসময় তিনি আরো বলেন, “বিবাদীরা কিন্তু শিক্ষিত, টাকা পয়সাওয়ালা। তারা চাইলে তিন লাখও দিতে পারে। তাই সময়মতো সিদ্ধান্ত নাও।”
জানা যায়, সাত মাস আগে রামুর হাইটুপী শ্রীকুল এলাকায় এক যুবককে সেফটিক ট্যাংকের ছাদ থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় রুপনা বড়ুয়া বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শিপ্ত বড়ুয়া অভিযোগ করেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রকৃত অপরাধীদের দায়মুক্ত করতে ঘুষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এটি ন্যাক্কারজনক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “এসআই চিরঞ্জীবকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ তৈয়বুর রহমান বলেন, “ঘটনাটি খুবই বিব্রতকর। জানার পরপরই তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
চিরঞ্জীব বড়ুয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।