শিরোনাম
◈ উচ্চকক্ষ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে উত্তপ্ত বিতর্ক-উত্তেজনা, ‘দুঃখিত’ বলার পর শান্ত হলেন এনসিপি নেতারা ◈ ‘সাদিক কায়েমের কোনো অসততার অভিযোগ নেই এখন পর্যন্ত’ ◈ আগামী ৫-৬ দিন সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব ◈ শৈলকুপায় ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ আটক ৬ ◈ বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র, মাছ ধরার ট্রলার না যাওয়ার নির্দেশ ◈ মে‌সির ইন্টার মায়ামির নাটকীয় জয় ◈ “জাতীয় সরকারের প্রস্তাব বিএনপিকে দেওয়া হয়েছিল”, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য খণ্ডন করলেন নাহিদ ইসলাম ◈ খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে চাঁদাবাজি, ১৩ ব্যাংকে ৫ কোটি টাকা ফ্রিজ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে ◈ মৌলভীবাজারে দিনদুপুরে ব্যবসায়ী ও মেয়ের গলায় দা ধরে ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনতাই

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৫, ০৭:৫৬ বিকাল
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেইপিজেডে এজিএম মুশফিকের নেতৃত্বে পাহাড় ও গাছ কাটার মহোৎসব, নীরব প্রশাসন

এস এম সালাহউদ্দিন, (আনোয়ারা,কর্ণফুলী) সংবাদদাতা :: চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড)-এ সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. মুশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে চলছে পাহাড় কাটা ও বৃক্ষ নিধনের অবাধ উৎসব। বিগত ১৭ বছর ধরে একই পদে থাকা এই কর্মকর্তা স্থানীয়দের মতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড।

পরিবেশ আইন উপেক্ষা করে শতবর্ষী পাহাড়কে ‘টিলা’ আখ্যা দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। একইসাথে হাজার হাজার বড় গাছ নিধন করে উজাড় করে ফেলা হয়েছে কেইপিজেডের সংরক্ষিত এলাকা। এতে পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, পাহাড় কাটার দৃশ্য যাতে সাধারণ মানুষের নজরে না পড়ে, সেজন্য দারোয়ান বসিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে কর্তৃপক্ষ।

দিনের আলোয় প্রকাশ্যে এবং রাতের অন্ধকারে গোপনে চলে এই ধ্বংসযজ্ঞ। পরিবেশকর্মী ও সচেতন মহল বলছেন, প্রশাসন ও সুবিধাভোগী কিছু কথিত সাংবাদিক রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে। আনোয়ারায় কর্মরত একাধিক সাংবাদিক জানিয়েছেন, কেইপিজেডে দীর্ঘদিন একই পদে থেকে অস্বাভাবিক প্রভাব বিস্তারকারী এজিএম মুশফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

মুশফিকের নামে-বেনামে সম্পদের অনুসন্ধানসহ কেইপিজেড চেয়ারম্যান কিহাক সাং বরাবরে ইংরেজিতে অনুবাদ করা অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা। স্থানীয়রা জানান, কেইপিজেডে বিভিন্ন সময় এমডি পরিবর্তন হলেও মুশফিক অদৃশ্য ছায়া হয়ে রয়েছেন একই পদে। এটা অত্যন্ত রহস্যজনক। সাংবাদিকদের উচিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে মুশফিকের সম্পদের হিসাব বের করা। বিনা টেন্ডারে কাজ দেওয়া, বনভূমি ধ্বংসসহ সব অপকর্ম জনসমক্ষে আনা দরকার।

সচেতন মহল বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কেইপিজেড পাহাড় ও বনাঞ্চল ধ্বংস করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধভাবে নীরব। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেইপিজেডের এজিএম মুশফিকুর রহমান বলেন, আপনি অফিসে আসেন। অফিসে আসলে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, কেইপিজেড কিছু অংশে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে পাহাড় কেটেছে। উচ্চতার সীমা অনুযায়ী কাটার অনুমতি ছিল। এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পরিবেশ অধিদপ্তর দিতে পারবে। চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মঈনুদ্দিন ফায়সাল বলেন, এই বিষয়ে লিখিতভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়