শিরোনাম
◈ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ সরকারকে ৬০ জন এমপির চিঠি ◈ সায়মা ওয়াজেদের ছুটি জবাবদিহির পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ : প্রেসসচিব ◈ চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টা অভিযুক্ত আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ ◈ বালিয়াডাঙ্গীতে মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের গাড়িবহরে হামলা, আহত ৪ ◈ এবার রাজধানীর মিরপুরে ‘৫ কোটি টাকা’ না পেয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-গুলি ◈ আটকের গুজব উড়িয়ে দিলেন সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান, বললেন ‘ভালো আছি, বাসায় আছি’ ◈ মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: ‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না, আমি ফাঁইসা গেছি’, গ্রেপ্তার রবিনের দাবি ◈ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০% মূল্য সংযোজন চাহিদা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য চ্যালেঞ্জ : বিজিএমইএ সভাপতি ◈ সাকিবের জন্য জাতীয় দলের দরজা সবসময় খোলা, বললেন বিসিবির মিডিয়া বিভাগের প্রধান ◈ অন্যায়কারী যেই হোক, প্রশ্রয় নয়: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তারেক রহমানের

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২৫, ০৬:৫৩ বিকাল
আপডেট : ১৩ জুলাই, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে জিপিএ-৫ পেল প্রমা দাস

মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি : ঘর বলতে টিনের চালা, বাবা দিনমজুর, মা কাথা সেলাই করে ও পুঁতির ব্যাগ তৈরি করে। যেখানে তিনবেলা খাবার জোটাতে কষ্ট সেখানে, পড়ার খরচ তো দূরের কথা। তবুও দারিদ্র্যতা যেন থামাতে পারেনি প্রমা রাণী দাসকে। সব প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই অদম্য শিক্ষার্থী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সুহাতা গ্রামের ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নেয় প্রমা। নেই কোচিং, নেই প্রাইভেট শিক্ষক, তবুও নিজের চেষ্টায় একেবারে সেরা ফলাফল অর্জন করেছে সে।

প্রমার বাবা শিবলু কর্মকার বলেন, “মেয়েটার আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। পেটে ভাত না থাকলেও বই ছাড়া থাকতে পারত না। আমি যতটুকু পেরেছি, করেছি। ধার-দেনা করেও চেষ্টা করেছি মেয়েটার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে। বাকিটা ভগবানের রহমত।মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে হবে এই আক্ষেপের কথা জানিয়ে প্রমার বাবা শিবলু বলেন, মেয়ে প্রমা ডাক্তার হতে চায়। কিন্তু ডাক্তার হওয়ার মাঝে একটাই বাঁধা দারিদ্রতা। আমার যেই অবস্থা মেয়েটা সামনে পড়ানোটা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ভাবছি পড়ালেখা বন্ধ করে দিবো। 

প্রমার স্বপ্ন একদিন ডাক্তার হয়ে গ্রামবাসীর পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু এই স্বপ্নের পথে বড় বাধা দারিদ্র্যতা। কলেজে ভর্তি, বই, যাতায়াত—সবকিছুতেই এখন অর্থ সংকট।প্রমা বলেন, বাবা এখন পড়ালেখা চালানোর অবস্থায় নেয়। মা-বাবা ও তিন বোন মিলে একটা ঘরেই থাকতে হয়। বাবার পাশাপাশি মাও কথা সেলাই ও পুঁতির ব্যাগ বানিয়ে সংসার চালায়। নিজের পড়ালেখা চালাতে ৯ম শ্রেণী থেকে টিউশনী করি। দুটি টিউশন করিয়ে ৬০০ টাকা পাই। সেটা দিয়ে নিজের পড়াশোনা আগাতে কাজে লাগিয়েছি। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে প্রমা বলেন, আমি ডাক্তার হতে চাই। কিন্তু কিভাবে সম্ভব হবে জানি না। ভগবানই পারবেন আমাকে সহযোগিতা করতে। বাবা আর পড়ালেখা চালাতে পারবে না। কারণ কলেজের পড়ালেখায় অনেক খরচ। হতভাগা দারিদ্রতার কারণে আমার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জনা রাণী সাহা বলেন, “প্রমা সত্যিই অনুকরণীয়। কঠিন বাস্তবতায় থেকেও এমন ফলাফল বিরল। ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের মধ্যে প্রমা একজন। সে যদি সহযোগিতা পায়, মেয়েটি অনেক দূর যেতে পারবে।” আমি বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে কথা বলব যেন বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থী হিসেবে মেয়েটির পাশে দাড়ানো যায় কি না। তাছাড়া আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রমার পাশে দাড়াবো। সমাজের দায়িত্বশীল ও সম্ভ্রান্তদের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান থাকবে প্রমার পাশে দাঁড়ানোর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়