শিরোনাম
◈ ‘সাদিক কায়েমের কোনো অসততার অভিযোগ নেই এখন পর্যন্ত’ ◈ আগামী ৫-৬ দিন সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব ◈ শৈলকুপায় ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ আটক ৬ ◈ বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র, মাছ ধরার ট্রলার না যাওয়ার নির্দেশ ◈ মে‌সির ইন্টার মায়ামির নাটকীয় জয় ◈ “জাতীয় সরকারের প্রস্তাব বিএনপিকে দেওয়া হয়েছিল”, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য খণ্ডন করলেন নাহিদ ইসলাম ◈ খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে চাঁদাবাজি, ১৩ ব্যাংকে ৫ কোটি টাকা ফ্রিজ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে ◈ মৌলভীবাজারে দিনদুপুরে ব্যবসায়ী ও মেয়ের গলায় দা ধরে ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনতাই ◈ টিকটক প্রেম থেকে বিয়ে: সুমাইয়ার টানে চীন থেকে মাদারীপুরে শি তিয়ান জিং

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২৫, ০৬:৩৩ বিকাল
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের তিন বিদ্যালয়ে এসএসসিতে শূন্য পাস, জেলায় সমালোচনার ঝড়

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কুড়িগ্রামের তিনটি বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জেলায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।

শূন্য পাস পাওয়া তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো—

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,

নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়,

ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।

পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়েছে। পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ জন এবং নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউই পাস করেনি।

এ ছাড়া জেলার আরও কিছু বিদ্যালয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কৃতকার্যদের তুলনায় বেশি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল হকের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব জানান, “বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৩ সাল থেকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে। এ বছর ৯ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নেয়, কিন্তু কেউই পাস করতে পারেনি। এখানকার শিক্ষার্থীরা অনেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজ করে পড়ালেখা করে। বর্তমানে শিক্ষক ৪ জন ও শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৮৫ জন।”

এদিকে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি কিছুদিন আগে কুড়িগ্রামে যোগদান করেছি। যেসব বিদ্যালয়ে শতভাগ ফেল হয়েছে, তাদের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে কারণ জানতে চাওয়া হবে।”

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৭ শতাংশ। কুড়িগ্রাম জেলায় এ হার ৬২.৩৫ শতাংশ। এ জেলায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১,১৫৮ জন শিক্ষার্থী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়