শিরোনাম
◈ ডাকসু নির্বাচন: থাকছে না বয়সের বাধা, যে পরিকল্পনায় এগোচ্ছে ছাত্রসংগঠনগুলো, প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যাঁরা ◈ অন-অ্যারাইভাল ভিসার অপব্যবহারে বাড়ছে মানবপাচার, নতুন ফাঁদে বাংলাদেশিরা! ◈ জুলাই অভ্যুত্থানের নামে চাঁদাবাজি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, কীভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি হলো? ◈ ক্রিকেটার সোহা‌নের অ‌ভি‌যোগ, কোচ হাথুরুসিংহেকে কোনো ক্রিকেটারই বিশ্বাস করতে পারতেন না ◈ আগামী বছর মা‌র্চে আর্জেন্টিনা-স্পেন মহারণ ◈ আলোচনার প্রথম দিন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল মার্কিন পাল্টা শুল্ক কমাতে সবুজ সংকেত  ◈ জুলাই অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কী ছিল? ◈ জুলাই সনদ নিয়ে ভিন্নমত: বিএনপির ইতিবাচক সাড়া, জামায়াতের শর্ত, এনসিপির আইনি ভিত্তির দাবি ◈ বাংলাদেশে ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে হংকংভিত্তিক কোম্পানি হানডা ◈ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২৫, ০৫:৪৩ বিকাল
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিয়ের প্রলোভনে গর্ভপাত, কৃষকদল নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

ফিরোজ আহম্মেদ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃষকদল নেতা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী আদালতে কৃষকদলের নেতাসহ চার জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেছেন। শুধু ধর্ষন আর গর্ভপাতই নয়, প্রেম ও বিয়ের অভিনয় করে ওই নারী কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৭ লাখ টাকা।

এদিকে শৈলকুপা থানায় নির্যাতিত ওই নারী পৃথক একটি অভিযোগও করেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ সত্যতা পান। এ খবর নিশ্চত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সম্রাট মন্ডল। 

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী নারী সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নাজমুল খন্দকার নামের এক যুবক। নাজমুল খন্দকার শৈলকূপা উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলামের ছেলে। ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাজমুল খন্দকার নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি নাজমুলের গোটা পরিবার জানার পরে তারা মেনে নেয়। এরপর ওই নারী নাজমুলের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে নাজমুল ও তার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা কৌশলে ওই নারীকে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার রয়েল ক্লিনিকে ভর্তি করে গর্ভপাত ঘটনায়।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই নাজমুল খন্দকার ও তার বাবা-মা ভুক্তভোগী নারীকে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে নাজমুল খন্দকার ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ওই নারী কোনো সমাধান পাননি। পরে তিনি শৈলকুপা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা মামলা গ্রহণ করেনি। নাজমুল খন্দকারের বাবা কামরুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওই নারীকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, দুই বছর ধরে নাজমুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক। তার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত থাকায় পরিবারের সবাই তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু অবাধ মেলামেশার কারণে গর্ভবতী হয়ে পড়লে ছেলের পরিবার তাকে মারধর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়। এ বিষয়ে কৃষকদল নেতার ছেলে নাজমুল খন্দকার বলেন, ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয়। সে একজন প্রতারক। তার নামে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা তিনি এখনো জানেন না।

নাজমুলের পিতা শৈলকুপা কৃষক দলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী মহিলা সম্পর্কে আমি খুব বেশি কিছু জানি না। তবে সে আমার বাড়িতে আসা যাওয়া করত এটা জানি। গর্ভপাত ও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তিনি নিউজটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।  শৈলকূপা থানার এসআই সম্রাট মন্ডল জানান, ওই নারির অভিযোগ পেয়ে তিনি পারির্পাশ্বিক ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তিনি জানান, এ নিয়ে যদি আদালতের কোন নির্দেশনা আসে তবে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান শুক্রবার রাতে জানান, এ বিষয়ে শৈলকুপা থানায় আদালতের নির্দেশে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে, মামলা নং ০৪/২৫। তিনি জানান, ভুক্তভোগী নারি সম্ভবত খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তাকে প্রলোভনে ফেলে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ হাতে পেয়েছি। আদালত মামলা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়