বাংলাদেশে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বাংলাদেশের (বিএটিবি) এমডিসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো. ফারজুন ইসলাম বাদী হয়ে খুলনা বিভাগের শ্রম আদালতে এ মামলা করেন।
অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া অফিসের উপমহাপরিদর্শক ফরহাদ ওহাব মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবাদীরা হলেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিশা আব্রাহাম, হেড অব অপারেশনস জর্জ লুইস মার্সেডো, সেক্রেটারি এবং সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সেল সৈয়দ আফজাল হোসেন, কোম্পানির কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত লিফ ফ্যাক্টরির প্লান্ট ম্যানেজার মুকিত আহমেদ চৌধুরী।
মামলার নথিতে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন না মেনে শ্রমিকদের বঞ্চিত ও নিজেদের স্বার্থ-সুবিধা মতো কারখানা পরিচালনার অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মামলার বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার অফিসের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) ফারজুন ইসলাম ও বিবাদী ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার চৌড়হাস লিফ ফ্যাক্টরির প্ল্যান্ট ম্যানেজার মুকিত চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার অফিসের উপমহাপরিদর্শক ফরহাদ ওহাব বলেন, ‘শ্রম আইনের বিধান না মানায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খুলনা শ্রম আদালতে মামলা করা হয়েছে।’
আন্দোলনকারী শ্রমিকনেতা শামিম উল আলিম বলেন, ‘ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর কুষ্টিয়া চৌড়হাস লিফ ফ্যাক্টরি অফিসের কর্মকর্তারা কোনো আইন মানেন না। নিজেদের মন মতো ফ্যাক্টরির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আসছি। যৌক্তিকভাবে ২২ দফা দাবি জানিয়ে আসলেও ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কর্মকর্তারা নানা টালবাহানা করে আমাদের কোনো দাবি মানেননি। আমরা চরমভাবে বঞ্চিত। দাবি আদায়ের আগ ফ্যাক্টরি চলতে দেব না। আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
শ্রমিকদের দাবিগুলো হচ্ছে প্রতি বছর নিয়োগপত্র দেওয়া বন্ধ করে এক নিয়োগপত্র দিতে হবে। কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ মুনাফা শ্রমিকদের দিতে হবে। প্রভিডেন্ট ফান্ড সুবিধা দিতে হবে। শ্রমিকের ঝুঁকি বিমা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন নিশ্চিত করতে হবে ইত্যাদি।