শিরোনাম
◈ পুলিশ সদস্যকে প্রেমের জেরে হত্যা, স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৬ ◈ পাক সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি ভারতকে, ‘আক্রান্ত হলে কঠিন জবাব’ ◈ বিকৃত যৌ'না'চারের নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি, দুই নারী গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ১০০০ মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা ◈ ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ আগামীকাল ◈ ‘নারীর দিকে তাকানোর ঘটনা নিয়ে’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ২০ ◈ এআই দক্ষতায় পিছিয়ে বাংলাদেশ, সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছে না ◈ পুঁজিবাজারে এক মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকা ‘হাওয়া’, বিএসইসির নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ ◈ আবেগঘন মুহূর্ত: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের শিশুপুত্রের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ

প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২৫, ০১:০৭ রাত
আপডেট : ০২ মে, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুলিশ সদস্যকে প্রেমের জেরে হত্যা, স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৬

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে প্রেমের জেরে পুলিশ সদস্য স্বামী মো. হুমায়ুন কবিরকে (৪৪) হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রীসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ঢাকা ও বরিশালে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। 

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো— নিহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী মোসা. সালমা বেগম (৩২), মোছা. মরিয়ম বেগম ওরফে মলি (৩৮), ফজলে রাব্বি ওরফে শুভ (২৩), পলি বেগম (৩৫), মো. কায়েচ হাওলাদার (৩৪) এবং অপর একজন কিশোর। 

যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের বরাতে ডিসি তালেবুর রহমান জানান, গত ২৮ এপ্রিল সকালে সংবাদ পেয়ে দয়াগঞ্জ বটতলা জজ মিয়ার বাড়ির ভাড়া বাসার গেটের কাছে থেকে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের  মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মৃত পুলিশ সদস্যের ভাই খোকন হাওলাদার বাদী হয়ে ২৯ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হুমায়ুন কবির ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পরিবহন বিভাগের জলকামান ড্রাইভার। স্ত্রী সালমা বেগম, ছেলে কাওসার হোসেন ইমন (১৩) এবং মেয়ে তুবা (৭) নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন তিনি। মো. রাজিব হোসেন নামে এক আত্মীয়ের সঙ্গে সালমা বেগমের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল— যা হুমায়ুন কবির জানতে পারেন। এ নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল একটি পারিবারিক সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সালমা বেগম ও তার ভাই মো. মানিকের সঙ্গে পুলিশ সদস্য হুমায়ুন কবিরের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে নিহত হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী সালমা বেগম, তার প্রেমিক রাজিব হোসেন ও ওই ভবনের ৪তলায় থাকা তার আত্মীয় মরিয়মসহ আরও কয়েকজন মিলে হুমায়ুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। 

থানা সূত্রে জানা যায়, মামলাটি তদন্তকালে ভিকটিমের দুই সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের দেওয়া তথ্যে বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে এজাহারনামীয় আসামি সালমা বেগম ও মরিয়ম বেগম ওরফে মলিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ভোর ৫টার দিকে বরিশাল জেলা থেকে শুভ, রাফি, পলি ও কায়েসকে গ্রেফতার করা হয়। 

এসময় নিহত পুলিশ সদস্য হুমায়ুনের দুটি মোবাইল ফোন শুভর কাছ থেকে জব্দ করা হয়। 

প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানায়, সালমা বেগমের সঙ্গে মো. রাজিব হোসেনের এক বছর ধরে বিবাহবহিবর্ভূদ সম্পর্ক ছিল। গত ২৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে হুমায়ুন ডিউটি শেষে বাসায় ফেরে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার স্ত্রী সালমা ঘুমের ওষুধ খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ায়। এতে হুমায়ুন অচেতন হয়ে পড়ে। পরে হাত-পা গামছা দিয়ে বেঁধে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে রাত আড়াইটার দিকে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে ভোর ৪টার দিকে লাশটি বাড়ির গেটের পাশে ফেলে রাখে। উৎস: বাংলাট্রিবিউন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়