শিরোনাম
◈ পহেলগাঁও সন্ত্রাস নিয়ে কারাগার থে‌কে ভারতকে ইমরান খা‌নের হুম‌কি ◈ বার্সেলোনা ও  ইন্টার মিলানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র ◈ শ্রীলঙ্কা‌কে হা‌রি‌য়ে সিরিজে এগিয়ে গে‌লো বাংলাদেশের যুবারা ◈ শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ চলছে, আইএলওতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ঝুঁকিতে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন ◈ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে: আকাশসীমা বন্ধ, সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা ◈ ৩২ বছর পর হতে যাচ্ছে জাকসু নির্বাচন, তারিখ ঘোষণা ◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন

প্রকাশিত : ০১ মে, ২০২৫, ১২:১৯ রাত
আপডেট : ০১ মে, ২০২৫, ১০:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদ্যালয়ে ঢুকে একদল নারী জুতা দিয়ে পেটালেন প্রধান শিক্ষককে

টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে বহিরাগত একদল নারী এসে আব্দুল জব্বার নামের এক শিক্ষককে জুতাপেটা করেছেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। আব্দুল জব্বার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

জানা গেছে, উপজেলার আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে গত বছর এপ্রিল মাসে যোগদান করেন আব্দুল জব্বার। বুধবার দুপুরে হঠাৎ একদল নারী তার কক্ষে গিয়ে আক্রমণ করেন। এ সময় সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগমসহ কয়েকজন তাদের হাত থেকে প্রধান শিক্ষককে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের ওপরও ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা। স্থানীয় কয়েকজন যুবক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।

এ সময় হামলায় অংশ নেওয়া জাহিন ওরফে জাহি ও ঝুমা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার পড়ানোর সময় আমাদের মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেছে। সুমি বেগমও একই ধরনের অভিযোগ করেন।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা বেগম বলেন, আমি বিষয়টি সকালেই জানতে পেরে স্যারকে জানিয়েছিলাম। স্যার তখন অফিস কক্ষেই ছিলেন। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা অফিসে প্রবেশ করে হামলা করেন। একপর্যায়ে জুতা দিয়ে পেটাতে থাকেন। আমরা অনেক কষ্টে তাকে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করি।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের শান্ত করে বলেন, এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষ প্রমাণ সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, আমার মেয়েকে স্থানীয় এক যুবক উত্যক্ত করতো। তাকে বিভিন্ন সময়ে বোঝানো হয়েছে। কথা না শোনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। আমি শিক্ষার্থীদেরকে সন্তানের মতো দেখি। সেভাবেই আদর ও শাসন করি। তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি বের করার জন্য ঊর্ধ্বতনদের আহ্বান জানাচ্ছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  উৎস: বাংলাট্রিবনিউন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়