শিরোনাম
◈ জুলাই ঘোষণাপত্র না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ◈ নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ ◈ সাভারে মেয়ের হাতে বাবা খুনের আসল ঘটনা নিয়ে যা জানা গেলো ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আনন্দ উল্লাস! (ভিডিও) ◈ পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশকে জামায়াতের কাছে লিজ দিন: ডা. তাহের ◈ জনগণ পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ লঞ্চে দুই তরুণীকে পেটানো যুবকের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ, আসলে কী হয়েছিলো? যা জানাগেল (ভিডিও) ◈ তামিম ইকবালকে নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে এতদিন পরে রাস্তায় কেন?

প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:২৩ রাত
আপডেট : ১১ মে, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে তিলধরার ঠাই নাই, হোটেল রেস্তুরায় গালাকাটা বানিজ্য

হাবিবুর রহমান সোহেল,কক্সবাজার : টানা সরকারি ছুটি ও ঈদ উৎসবকে বরণ করতে পর্যটকে ভরপুর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। পুরো সৈকতের বালুচর জুড়ে মানুষ আর মানুষ। চোখ যেদিকে যায় সেদিকে কোথাও বালি পরিমান জায়গা খালি নাই। পর্যটকের গাদাগাদিতে অনেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এসব ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ। বরাবরের মতো কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল রেস্তুরায় গলাকাটা বানিজ্যের অভিযোগ তুলেন হাজারও পর্যটক।

তবে হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজগুলো শতভাগ বুকড বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে বিগত সময়ের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত রুমভাড়া ও খাবার হেটেলে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে টমটম চালকদের কাছেও।

তবে অভিযোগ সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের। আর কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স নেতারা বলছেন, আশানুরূপ পর্যটক আসায় এ মাসে ব্যবসা হবে শতকোটি টাকার উপরে। কক্সবাজার রামাদা হোটেল ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস রয়েছে।

হোটেল ব্যবসা ছাড়াও রেস্তোরাঁ, শামুক, ঝিনুক, শুটকি, বার্মিজ পণ্য বিক্রিসহ অন্যান্য মিলে এবারে শতকোটি টাকার ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কাউকে অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গেল কয়েক বছর ধরে পর্যটন ব্যবসায় মন্দা গেলেও গত ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিকভাবে রেল চলাচল শুরুর পর পর্যটক খরা কাটতে শুরু করে।

২ এপ্রিল বিকেলে সমুদ্র সৈকতের লাবনি পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট এবং কলাতলী পয়েন্টে পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। পর্যটকদের কেউ কেউ সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোড়ায় চড়ে, কেউ ছবি তুলে, কেউ বিচ বাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে সমুদ্রের নীল জলরাশিতে পা ভিজিয়ে নিচ্ছেন। তবে পর্যটকের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের ভিড়ও চোখে পড়ার মতো।

কলাতলী পয়েন্টে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারে এসেছি। কিন্তু কোনো হোটেলে রুম না পেয়ে রাতেই ঢাকায় ফিরবো। কলাতলীতে সাদ্দাম হোসেন, রাকিব, সাজ্জাদ হোসেনসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে। তারা জানান, শিক্ষকসহ প্রায় ৭০ জন কক্সবাজারে এসেছি। সৈকতে যতবার আসি ততবার ভালো লাগে। তবে পর্যটন স্পটগুলো আগের মতোই রয়ে গেছে।

কোথাও কোনো সৌন্দর্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বলেন, ব্যস্ততা ও ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার কারণে বেড়ানোর সুযোগ তেমন হয় না। তাই দুই দিনের জন্য কক্সবাজারে এসেছি। তবে সৈকত ছাড়া এখানে বেড়ানোর কোনো জায়গা নেই। বলতে গেলে একদিন পর কক্সবাজারে আর ভালো লাগছে না। কলাতলী ডলফিনমোড় স্বপ্নপুরী রেস্তোরাঁয় পর্যটকদের পচা বাঁশি খাবার পরিবেশন করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শতাধিক পর্যটক। তারা অবিলম্বে উক্ত হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। আফজালুর রহিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, রেলে চড়ে কক্সবাজার নেমেই টমটম চালকদের কাছে হয়রানির শিকার হয়েছি। জঘন্য তাদের আচরণ।

এরপরে দ্বিতীয়বার হয়রানির শিকার হতে হয় সেই স্বপ্নপুরী রেস্তোরায়। উক্ত হোটেলে নিম্নমানের খাবার চড়া দাম বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সৈকতে কথা বলা বেশিরভাগ পর্যটক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের সবকিছু পাল্টিয়েছে কিন্তু বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এলাকায় পর্যটকই হরানী বন্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান,এ পর্যন্ত কোনো পর্যটক অভিযোগ দেননি। এরপরও পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন মাঠে রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। তিনি বলেন, পর্যটকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। হয়রানির অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়