শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৩৮ বিকাল
আপডেট : ১৪ মে, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিশোরগঞ্জের হাওরে সরিষার বাম্পার ফলন

ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত উপজেলা ইটনা মিঠামইনের নিকলী মাঠ প্রান্তরে এখন যেন হলুদ চাদর বিছানো। সরিষা ফুলের হলুদরঙ, ঘ্রান আর মৌমাছির গুঞ্জন আকৃষ্ট করছে প্রকৃতিপ্রেমিদের। এবার সরিষার বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকও। ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন। ফুলে থাকা মধুর লোভে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছিরা। সরিষা ফুলের ঘ্রান আর হালকা বাতাসে গাছের দুলনিতে উঠে হলুদ ঢেউ। এ দৃশ্য যুদ্ধ করবে যেকোন প্রকৃতি প্রেমিকে। শীতে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা গুলো ফসলের মাঠ জুড়ে দেখা মিলবে এমন দৃশ্যের।

এ যেন হলুদ চাদরে ঢাকা। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। প্রকৃতিতে হলুদের আভা এনেছে সরিষা ফুল। সকালে শিশিরে ভেজা ফুলের সৌন্দর্য বাড়ে আরও। প্রতি বছর এ মৌসুমে হলুদের এমন অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীড় জমান প্রকৃতিপ্রেমিরা। গাজীপুর থেকে  ঘুরতে আসা দরবেশ সেলিম বলেন, ভরা বর্ষায় হাওরের থৈ থৈ পানির সৌন্দর্য দেখতে এসেছিলাম। এখন যেখানে পানি ছিলো সেখানে সরিষা ফুলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখতে এসেছি। সরিষা ফুলের সাথে ছবি তুলতেছি, খুব ভালো লাগছে। হাওরে আসার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো, তাই আসা-যাওয়া সহজ। 

মিঠামইনের খুনখুনি হাওরের জিরাতি কৃষক মঞ্জিল মিয়া জানান, আমার বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলায় আশুতিয়াপাড়া গ্রামে। এ হাওরে আমার জমি আছে। পানি নেমে যাওয়ার পর ছয় মাসের জন্য অস্থায়ী ঘর বানিয়ে আমি এ জমিতে বোরো আবাদ করি। কয়েক বছর ধরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে সরিষার আবাদ করছি। এর আগে এমন সময়ে জমি পতিত থাকতো। ৭০ থেকে ৭২ দিনে সরিষার ফলন হয়।

পরে আবার এ জমিতেই বোরো আবাদ করি। তাই এটা আমার বাড়তি ফসল। এ ফসলের টাকা দিয়ে বোরো আবাদের খরচ হয়ে যায় আমার। ১৫ একর জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এবছর সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে, তাই খুশি আমি।

জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ইটনা উপজেলায় ৫২০ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। মিঠামইন উপজেলায় ২৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। নিকলী উপজেলায় ২৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন,অন্তবর্তী সময়ে নামমাত্র খরচে চাষ করে উপযুক্ত দাম পাওয়ায় কৃষকরা অধিক হারে সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। 

তিনি আরও জানান, এ বছর জেলায় ১২ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টনের উপরে। তবে বাম্পার  ফলনের আশা থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়