শিরোনাম
◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া? বিএনপি–জামায়াতের মধ্যে আলোচনা উদ্যোগ ◈ আজ ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ◈ ভয়ানক অভিযোগ জাহানারার, তোলপাড় ক্রিকেটাঙ্গন (ভিডিও) ◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সময়মতো জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান বিএনপির স্থায়ী কমিটির ◈ কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আপ্যায়ন বাবদ ব্যয়  ৪৫ লাখ টাকা ◈ ভার‌তের কা‌ছে পাত্তাই পে‌লো না অস্ট্রেলিয়া, ম‌্যাচ হার‌লো ৪২ রা‌নে ◈ শুল্ক চুক্তির অধীনে মা‌র্কিন উ‌ড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ ◈ টিটিপাড়ায় ৬ লেনের আন্ডারপাস, গাড়ি চলাচল শুরু শিগগিরই (ভিডিও) ◈ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বার্তা ◈ ভালোবাসার টানে মালিকের সঙ্গে ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির!

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩১ রাত
আপডেট : ০৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যাবসায়ীর বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, পিস্তল ঠেকিয়ে নিয়ে গেছে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা

নিনা আফরিন,পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের একটি বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।প্রায় ৮ জনের একটি ডাকাত দল বাসার মালিকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে লুট করে নিয়ে গেছে প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৫৫ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার(৩ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ২ টায় কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার ব্যাবসায়ী হোটেল রনির মালিক মানিক মিয়ার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

রাতে বাড়ির বাথরুমের ভেন্টিলেটার ভেঙে ভিতরে ঢোকে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলটি।এসময় ডাকাতরা ওই ব্যবসায়ীকে ঘরের মধ্যে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এবং ঘরে থাকা তার মেয়ে এবং স্ত্রীকে চোখ বেঁধে রাখা হয়।ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বাসায় কোথায় কি আছে সবকিছু জানতে চাওয়া হয়। প্রথমে কোন কিছু শিকার না পাওয়ায় মেরে রক্তাক্ত করা হয় এ ব্যবসায়ীকে।পরে ভয়ে আতঙ্কে সবকিছু বলে দেয় এবং সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দলটি।

মানিক মিয়ার মেয়ে মাইদা নিশা বলেন,রাতে আমি আমার রুমে ঘুমাচ্ছিলাম।দরজা টোকা দেয়ার শব্দ পেয়ে আমি ভেবেছিলাম বাবা ,মা ডাকছেন আমাকে।পরে দরজা খুলার সাথে সাথে অপরিচিত ৭-৮ জন মানুষ দেখে ভয় পেয়ে যাই।তারা আমাকে এবং আমার মা তাজিনুর বেগমকে বেঁধে ,আমার বাবার মাথায় পিস্তল ধরে কোথায় কী আছে জানতে চান।বাবা প্রথমে বলেননি,এর পরে বাবাকে মারা হলে কোথায় কী আছে বলে দেন।একপর্যায়ে বাড়ির আলমারি, লেপকাঁথা রাখা বক্স থেকে নগদ ৫৫ হাজার নগদ টাকা ও ৯ ভরি পরিমাণ স্বর্ণের অলংকার এবং আমাদের মোবাইল ফোন নিয়ে ডাকাতরা চলে যায়।

কুয়াকাটা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ফজলুল হক খান বলেন, গত ৩০ বছরের মধ্যে এরকম সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা কুয়াকাটায় ঘটেনি।আমরা প্রশাসনের কঠিন নজরদারি আশা করছি।এ ঘটনায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ খুবই আতঙ্কিত।

কুয়াকাটার প্রাণকেন্দ্রে, ঘনবসতি এরিয়ার মধ্যে এরকম একটি ঘটনা ঘটায় স্থানীয়দের মনে ভয়-ভীতি তৈরি হয়েছে।অনেকেই দাবী করছেন পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় চোর ডাকাতের উৎপাত বেড়ে গেছে।

এ বিষয়  মহিপুর থানার ওসি মো.  আনোয়ার হোসেন তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা। ডাকাত দলের সদস্যরা যেভাবে এই বাসায় ডাকাতি করেছে তাতে মনে হচ্ছে তারা অভিজ্ঞ একটি ডাকাত দল।এই ঘটনায় পুলিশের গোয়েন্দা টিম কাজ শুরু করেছে এবং এ ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়