সাবেত আহমেদ, গোপালগঞ্জ: [২] গোপালগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় হত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে স্থানীয় সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নির্দেশে আন্দোলনকারিরা দুপুর ১টায় আন্দোলন কর্মসূচি তুলে নেয়।
[৩] বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নিহতের নিজ এলাকা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া বাসস্ট্যান্ডে এবিক্ষোভ সমাবেশ করে এলাকাবাসী। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে সড়কের উপর বেশ কয়েকটি জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। আন্দোলনকারিরা এসময় বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
[৪] পরে আন্দোলন কর্মসূচিতে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা কর্মী কর্মসূচিতে যোগ দেয়। এতে আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে ওঠে। এসময়ে ওই সড়কের দুই পাশে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দূরপাল্লার যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পরে সাধারণ যাত্রী।
[৫] আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ছবেদ আলি ভূঁইয়া বলেন, বুধবার হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের চেঁচানিয়াকান্দি অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্ত হত্যাকান্ডের ৩৬ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এজন্য বৃহস্পতিবার সাড়ে এগারোটা থেকে দাবি আদায়ের উদ্দেশ্য সর্বস্তরের জনগনকে সাথে নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছি।
[৬] সমাবেশে পরাজিত প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলি বলেন, নিহত ওয়াসিকুর ভূঁইয়া ছিলেন আমার নির্বাচনী এজেন্ট। তাকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে আমার প্রতিপক্ষ। নিহত ওয়াসিকুরের ছোট একটি ছেলে আছে। কি অপরাধ ছিলো ওয়াসিকুরের। আজ তার সন্তন এতিম হলো। তার স্ত্রী ও মা-বোনকে কি জবাব দিবো? তাই দোষিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম ভাইয়ের নির্দেশে আজ আন্দোলন তুলে নিলাম।
[৭] এসময় প্রশাসনের প্রতি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এতে ব্যর্থ হলে আগামী রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :