[৩] স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় রুমা মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ার সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মসজিদের সবাইকে জিম্মি করে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে জানতে চাইলে সবাই চুপ করে থাকে। এক পর্যায়ে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে সাথে করে ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে গেইট ভেঙ্গে অফিসে থাকা অফিস সরঞ্জাম নষ্ট করে ফেলে এবং ব্যাংক নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে মোট ১৪টি আগ্নেঅস্ত্র লুট করে ব্যাংক ম্যানেজার মো. নেজাম উদ্দিনকে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
[৪] রুমা সোনালী ব্যাংকের ক্যশিয়ার উথোয়াইচিং মারমা জানান, ডরমিটরির বাইরে যুবউন্নয়ন অফিসের পাশে গিয়ে চায়ের দোকানে চা খাইতে গেলে মুখে কালি লাগানো অপরিচিত ৩ জন লোক অস্ত্রের মুখে দাড় করায় এবং তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে পকেটে থাকা ১৫শ’ টাকা ও ব্যাংকের চাবি নিয়ে নেয়।
[৫] পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী আসার পর ব্যাংকে গিয়ে দেখেন অফিস সরঞ্জাম গুলো ছড়ানো ছিটানো রয়েছে। এছাড়া তার জানামতে ভল্টের ভিতর ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা জমা ছিল। ভল্টের দুইটি চাবির মধ্যে তার কাছে ১টি এবং অপহরণের শিকার ম্যানেজারের নিকট অপরটি থাকত। ভল্ট না খোলা পর্যন্ত টাকা লুটের বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
[৬] রুমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাজাহান জানান, বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবিষয়ে কোন প্রকার মামলা হয়নি।
[৭] পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, পুলিশের ৮টি চায়না রাইফেল, ২টি এসএমজিসহ ১০টি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি,আনসারের ৪টা শর্টগান ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। ক্রাইম টিম আসলে তারা ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তদন্ত করবে, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
[৮] জেলাপ্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সোনালী ব্যাংকের ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ব্যাংকের ভল্ট চেক করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রাইমসিন টিম আসলেই বুঝা যাবে টাকা খোয়া গেছে কিনা? ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে।
[৯] আতংকিত হওয়ার কিছু নেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :